কক্সবাজার প্রতিনিধি
টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিমা বিসর্জন, সাপ্তাহিক ছুটি এবং ঈদে মিলাদুন্নবী মিলে টানা ৫ দিনের ছুটিতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। বুধবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে পর্যটকের ঢল নামে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে। কলাতলী থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সৈকতজুড়ে পর্যটক দেখা গেছে। শহরের রাস্তাতেও ভিড় দেখা যায় পর্যটকের। এতে দেখা দেয় পরিবহন সংকট।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা কয়েক দিনের ছুটিতে তাদের কয়েকশ কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে বলে আশা করছি। হোটেল মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, এরই মধ্যে শতভাগ হোটেল-মোটেলের বুকিং সম্পন্ন হয়েছে।
হোটেল সি গাজীপুর রিসোর্টের মালিক আবদুর জাব্বার বলেন, দুর্গাপূজা ও টানা কয়েক দিনের ছুটিতে হোটেলে শতভাগ বুকিং হয়েছে।
কক্সবাজার শালিক রেস্তোরাঁর মালিক নাছির উদ্দীন বলেন, সকাল থেকে পর্যটকের সমাগম দেখা যাচ্ছে। অন্যদিনের চেয়ে আজ পর্যটকের চাপ বেশি। আশা করি এই চাপ আগামী রোববার পর্যন্ত থাকবে। টুয়াক সভাপতি আনোয়ার কামাল বলেন, টানা কয়েক দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটকের সমাগম হতে পারে। গতকাল থেকে কক্সবাজারে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মোহাম্মদ নূর আলম বলেন, ছুটি পেয়ে কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে পা ভেজানোর জন্য ছুটে এসেছি।
কুমিল্লা থেকে আসা সুইফা সুইটি বলেন, জীবনে প্রথম বার কক্সবাজার এসেছি। সমুদ্রসৈকত দেখে সব কষ্ট ভুলে গেছি। তবে গাড়ি ভাড়া বেশি মনে হচ্ছে। কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, টানা কয়েক দিনের ছুটিতে ৩ লাখ পর্যটকের সমাগম হবে। পৌরসভার পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিমা বিসর্জন এবং সাপ্তাহিক ছুটি মিলে মোট ৫ দিনের ছুটি উপলক্ষে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাখো মানুষের ঢল নামছে। প্রতিমা বিসর্জন ও পর্যটক নিরাপত্তার জন্য সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের কর্মকর্তারাও কাজ করছে। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ সবসময় প্রস্তুত। প্রতিটি পয়েন্টে সাদা পোশাকে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটকদের সুবিধার জন্য সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশের হেল্প ডেক্স বসানো হয়েছে।
"