নিজস্ব প্রতিবেদক
অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত
র্যাবের নিষেধাজ্ঞা কোনো শাস্তি নয়
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা কোনো শাস্তি নয়। তারা যেন তাদের আচরণ পরিবর্তন করে, সেজন্যই এটা দেওয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তখনই পুনর্বিবেচনা করবে যখন বাংলাদেশ এই বাহিনীতে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে সেন্টার ফর গর্ভন্যান্স স্টাডিজ-সিজিএস আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কোনো একক ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়, বরং জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহযোগিতার লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। কাজ করছে। আমরা আশা করছি, র্যাবের আচরণ পরিবর্তন হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক কৌশল- আইপিএসে বাংলাদেশের যোগ দেওয়া না দেওয়াটা কোনো বিষয় নয়। কেননা এটা একটি নীতি। এটা বাংলাদেশ কিভাবে নেয়, সেটাই দেখার বিষয়।
অন্য এক প্রশ্নে হাস বলেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-বিআরআইয়ে যোগ দেওয়া বাংলাদেশের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। দেশটি কোন জোটে যোগ দেবে, সেটা তাদের বিষয়।
এর আগে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) সংগঠনের আয়োজিত সভায় পিটার হাস বলেন, বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ ধরনের একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের। কোনো পক্ষ তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে ব্যর্থ হলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে না। তবে রাজনৈতিক সহিংসতাকেও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে ৫টি বিষয়েও ওপর গুরুত্ব দেয় তার দেশ। প্রথমত, শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ত, প্রতিশ্রুত গণতন্ত্র, বহুদলীয় গণতন্ত্র, সহিষ্ণুতা, স্বচ্ছতা ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা। তৃতীয়ত, সামাজিক ও পরিবেশগত প্রতিকূলতা মোকাবিলায় সক্ষমতা। চতুর্থত, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফেরা পর্যন্ত তাদের আশ্রয় দেওয়া। পঞ্চমত, এই চার লক্ষ্য পরিপালন করলে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শ্রমমান উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়া। দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ভিত্তিতে এসব অর্জন সম্ভব।
"