নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

শৃঙ্খলা ফেরাতে রাজধানীর বাসে ই-টিকিট

যাত্রী হয়রানি কমার প্রত্যাশা * কাটল বাড়তি ভাড়ার ঝামেলা

গণপরিবহনে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য দীর্ঘদিনের। সরকার ভাড়া নির্ধারণ করে দিলেও তা মানত না কোনো গণপরিবহন। আর এ বিষয়ে যাত্রীদের অভিযোগেরও অন্ত ছিল না। শুধু রাজধানী নয়, দেশজুড়েই একই অবস্থা। ছিল বাড়তি ভাড়া আদায়ের সীমাহীন নৈরাজ্য। যে যেভাবে পেরেছে জিম্মি করে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করেছে দ্বিগুণ-তিনগুণ অতিরিক্ত ভাড়া। তবে এবার যাত্রীদের জন্য সুখবর নিয়ে এলো পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। রাজধানীতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে চালু হয়েছে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা। কয়েকটি রুটে মিরপুর সুপার লিংক, পরিস্থান, প্রজাপতি ও বসুমতিসহ বেশ কয়েকটি বাস পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করেছে এ কার্যক্রম। এ ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর হলে সাধারণ যাত্রীদের গুনতে হবে না অতিরিক্ত ভাড়া। তাই নতুন এ সিস্টেমকে স্বাগত জানিয়েছেন যাত্রীরা।

টিকিট বিক্রেতারা বলছেন, ই-টিকিটিং চালু হওয়ায় যাত্রী হয়রানি কমার পাশাপাশি ভাড়ারও সমন্বয় করা হচ্ছে। জনসাধারণের সুবিধার্থে পর্যায়ক্রমে সব রুট ও বাসেই ই-টিকিটিং চালুর দাবি জানান যাত্রীরা। এর আগে রাজধানীর অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যবস্থায় যাত্রী ভোগান্তি নিরসনে চালু হচ্ছে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে ই-টিকিটিং সহযোগী প্রতিষ্ঠান যাত্রী সার্ভিসেস লিমিটেডের এ-সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়।

সূত্র জানিয়েছে, এটি চালু হওয়ায় যাত্রীরা বাসের ভেতরে টাকা দিয়ে কন্ডাক্টরের কাছে থাকা মেশিন থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন। টিকিটের গায়ে যাত্রার বিবরণ থেকে টাকার পরিমাণ সবই উল্লেখ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কোনো সুযোগ থাকল না। এ পাইলট প্রকল্পে প্রজাপতি পরিবহন, পরিস্থান পরিবহন, অছিম পরিবহন, নূর-ই মক্কা পরিবহন ও বসুমতির বাসে ই-টিকিট সুবিধা চালু হলো। এর ফলে রাজধানীর সড়কে ফিরতে পারে শৃঙ্খলা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ই-টিকিটিং সিস্টেম সফল হলে সবাই জন্যই এটা ফলপ্রসূ হবে। যাত্রাপথে ভোগান্তি কমে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আসবে।

এর আগে গত ৩১ আগস্ট বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘নগরীর পাঁচটি রুটে ই-টিকিটিং পরীক্ষা করে শিগগিরই তা পুরো ঢাকায় চালু করা হবে। কাউন্টারে একটি পজ মেশিন থাকবে, এর মাধ্যমে যাত্রীরা টিকিট কেটে গাড়িতে উঠবেন। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া যাতে আদায় না হয়, সেজন্য আমরা ই-টিকিটিং সিস্টেমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এজন্য একটি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন খন্দকার এনায়েতু উল্যাহ। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা ১০ থেকে ১৫ দিনের জন্য ঢাকার পাঁচটি সড়ককে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে নেব। সেখানে এ সিস্টেমের টিকিট বিক্রি পরীক্ষা করে দেখা হবে। আমরা যদি এই প্রজেক্টে সফলতা পাই, তবে আশা করছি পুরো ঢাকা শহরেই গণপরিবহনে ই-টিকিটিং সিস্টেম চালু হয়ে যাবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close