নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

দুই ফুটবলারের লাগেজ থেকে চুরি তদন্তে এপিবিএন

সাফজয়ী দুই ফুটবলারের লাগেজ থেকে ডলার, কাপড়চোপড় ও অন্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটিলিয়ন (এপিবিএন)। বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এপিবিএন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, আমরা সংবাদ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। সাফজয়ী ফুটবলার কৃষ্ণা রানী সরকার ও শামুসন্নাহারের লাগেজ থেকে ডলার, কাপড়চোপড় ও অন্য জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার নেপাল থেকে ঢাকায় ফেরার পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটেছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিমানের উপব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) দুলাল চন্দ্র দেব বলেন, বুধবার কাঠমা-ু-ঢাকা রুটের বিজি-৩৭২ ফ্লাইটটি দুপুর ১টা ৪২ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটটির ব্যাগেজগুলো ৮ নম্বর ব্যাগেজ বেল্টের মাধ্যমে ২টা ১০ মিনিটে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সার্বক্ষণিক তদারকির মাধ্যমে ডেলিভারি দেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, সে সময় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়রা লাগেজগুলো সঠিক অবস্থায় বুঝে নেন। বুঝে নেওয়ার সময় লাগেজ থেকে কোনো কিছু খোয়া যাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

বিমানের উপব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) দুলাল চন্দ্র দেব বলেন, বাফুফের প্রতিনিধিরা লাগেজগুলো দুটি কাভার্ডভ্যানে উত্তোলনপূর্বক এয়ারপোর্ট এলাকা ত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার এয়ারপোর্টের বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে টাকা চুরির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। উল্লিখিত বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হলো।

সাফজয়ী ফুটবলার কৃষ্ণার বাবা বাসুদেব সরকার বলেন, ‘সকালে মেয়ে আমাকে ফোন করেছিল। ওর ভীষণ মন খারাপ। কৃষ্ণা আমাকে বলেছে, ওর লাগেজ থেকে ৪০০ ডলার চুরি করে নিয়েছে। আর শামসুন্নাহারের লাগেজ থেকেও কিছু নেপালি টাকা ও কাপড়চোপড় হারিয়েছে।’

বাংলাদেশ ফুটবল দলের সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান এমন ঘটনায় হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘বিমানবন্দরে নামার পর জানতে পারি কৃষ্ণা, শামসুন্নাহারসহ আমাদের দলের ফিজিওর বেশ কিছু জিনিসপত্র খোয়া গেছে। টাকাপয়সাও হারিয়েছে। আমরা বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে কিরণ আপাকে (মাহফুজা আক্তার, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মহিলা উইং চেয়ারম্যান) জানিয়েছি। আপা এরই মধ্যে বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আশা করি, এ ব্যাপারে একটা সমাধান হবে।’

বুধবার দুপুরে সাফজয়ীরা বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে আসেন। তখন কয়েকশ সাংবাদিক সেখানে ভিড় করেন। ইমিগ্রেশন শেষ করে নারী ফুটবলারদের যে পথে আসার কথা ছিল, ওই পথে ছিল অসংখ্য সাংবাদিকের ভিড়। যে কারণে সংবাদ সম্মেলনও বাতিল করা হয়। মেয়েরা উঠে পড়েন ছাদখোলা বাসে।

বিমানবন্দরের লাগেজ বেল্টের এক পাশে পড়ে ছিল সাবিনা, কৃষ্ণাদের লাগেজগুলো। সেখানে থাকা কয়েক কর্মকর্তা বলছিলেন, ‘এই লাগেজগুলো কাদের? কেউ নিচ্ছে না কেন?’ এরপর বাফুফের পক্ষ থেকে মেয়েদের লাগেজগুলো সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু বাফুফে ভবনে গিয়ে খেলোয়াড়দের কয়েকজন নিজেদের লাগেজের তালা ভাঙা পান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close