নুর নবী রবিন, চবি

  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের অবরোধে অচল চবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বর্ধিত করার দাবিতে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবরোধ করেছেন নেতাকর্মীরা। আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন চলাচল করতে পারেনি। ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষকদের কোনো বাস শহরে যায়নি। বন্ধ ছিল রিকশা ও সিএনজি চলাচলও। স্থগিত হয়েছে বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা। এতে অচল হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে অবরোধ শুরু হয়। পদের দাবিতে চবির মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা। এ সময় তিনটি দাবি জানান তারা। এগুলো হচ্ছে পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তকরণ, কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদগুলোর পুনর্মূল্যায়ন ও কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রকিবুল হাসান দিনার প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, চবি ছাত্রলীগের ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির অসঙ্গতিগুলোকে কেন্দ্র করে ৩ দফা দাবিতে চলা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ক্যাম্পাস অবরোধ করেছে বঞ্চিতরা। চবি সাধারণ সম্পাদক কমিটি বর্ধিত করার কথা দিয়ে কালক্ষেপণ করে এখন হল ফ্যাকাল্টি কমিটির কথা বলে নতুন তালবাহানা শুরু করেছে, যা বঞ্চিতদের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়। আজকের এই পরিস্থিতির জন্য শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব দায়ী।

অবরোধের বিষয়ে আরেক সহসভাপতি আবরার শাহরিয়ার বলেন, নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়েরই একটি অংশ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সার্বিক পরিস্থিতির কথা আগে থেকে ভেবে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার ছিল।

এদিকে অবরোধের মুখে শিক্ষক বাস ও শাটল ট্রেন চলাচল করতে না পারায় বিভিন্ন বিভাগে ক্লাস হয়নি। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা এবং আরবি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই চবি শাখা ছাত্রলীগের দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ছয় বছর পর গত জুলাইয়ে ঘোষণা করে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুসারে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিতে মোট সদস্য হবেন ১৫১ জন। তবে গঠনতন্ত্র ভেঙে চার শতাধিক সদস্যের বিশাল কমিটি গঠন করা হলেও সন্তুষ্ট হননি নেতাকর্মীরা। কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন শাখা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এমনকি কমিটি বর্ধিত না করলে সেপ্টেম্বরে ‘সহিংস’ আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close