প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১২ আগস্ট, ২০২২

চীনের ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ প্রত্যাখ্যান করল তাইওয়ান

চীনের ‘এক দেশ দুই ব্যবস্থা’ নামক নীতি প্রত্যাখ্যান করেছে তাইওয়ান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, কেবল তাইওয়ানের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে। চলতি সপ্তাহে এক শ্বেতপত্রে চীনের প্রস্তাবিত ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ মডেল প্রত্যাখ্যান করে কড়া বক্তব্য দিয়েছে তাইওয়ান সরকার। তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে বৃহস্পতিবার (আগস্ট ১১) এ কথা জানা গেছে।

চীন বুধবার ‘দ্য তাইওয়ান কোশ্চেন অ্যান্ড চায়না’স রিইউনিফিকেশন ইন দ্য নিউ এরা’ শীর্ষক নতুন ওই শ্বেতপত্র প্রকাশ করে।

এতেই চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি তাইওয়ানকে হংকংয়ের মতো ‘এক দেশ, দুই নীতি’ মডেল প্রস্তাব করেছে। প্রস্তাবে গণতান্ত্রিকভাবে স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানের সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা আংশিক রক্ষণাবেক্ষণে কিছু স্বায়ত্তশাসনের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।

এরপরই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জোয়ান ওউ বৃহস্পতিবার রাজধানী তাইপেতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কেবল তাইওয়ানের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।

ওউ আরো বলেন, তাইওয়ানের জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরকে ইস্যু বানিয়েছে চীন। এ ইস্যুকে তারা ‘নতুন স্বাভাবিক অবস্থা’ তৈরির অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এর আগে তাইওয়ানের প্রধান প্রধান সব রাজনৈতিক দলই চীনের ওই ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ প্রস্তাব নাকচ করেছে। সব জনমত জরিপেও দেখা গেছে, তাইওয়ানের বাসিন্দাদেরও প্রস্তাবটি পছন্দ নয়।

তাইওয়ানের মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলও নতুন শ্বেতপত্রের নিন্দা করে বলেছে, ‘এটি ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যায় ভরা চিন্তাভাবনা ও বাস্তবকে উপেক্ষা করা’ এবং এটিই চীন। তাইওয়ান এ-ও বলেছে, সত্তর বছর ধরে চীন তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে; যা মোটেই গণতান্ত্রিক ও বন্ধুসুলভ আচরণ নয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close