গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

  ০৭ আগস্ট, ২০২২

ডাক্তারের অদক্ষতায় প্রাণ গেল প্রসূতির

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সিটি জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতায় সন্তান প্রসবের জন্য সিজারিয়ান অপারেশনের পর রক্তপাত বন্ধ করতে না পারায় প্রাণ গেল গৃহবধূ মুনমুনের (২৬)। মুনমুন উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের কানিপাড়া গ্রামের আবদুল আজাদের স্ত্রী ও পৌরসভার খলসী গ্রামের মিলনের মেয়ে। মুনমুনের স্বজনরা দাবি করেছেন, ডাক্তারের অদক্ষতায় অকালে প্রাণ গেল এই গৃহবধূর।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকালে সন্তান প্রসবের জন্য সিটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন মুনমুন। বেলা ১১টায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাশের পলাশবাড়ী উপজেলা থেকে নারী ডাক্তার এনে মুনমুনের সিজার করানো হয়। সিজার পরবর্তী রোগীর রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় বিপাকে পড়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এ সময় দ্রুত রোগীকে ভালো হাসপাতালে না পাঠিয়ে নিজেরাই চেষ্টা করার একপর্যায়ে প্রসূতির অবস্থা বেগতিক দেখে এ দিন বিকাল ৪টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুনমুনের মৃত্যু হয়।

মুনমুনের বাবা জানান, ১১ বছর আগে মুনমুনের বিয়ে হয়। তার একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। আজ সিজারে তার একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। নবজাতক সুস্থ আছে। কিন্তু সিজার পরবর্তী সময়ে ডাক্তার প্রসূতির রক্তপাত বন্ধ করতে না পারায় বিকালে বগুড়ায় শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুনমুন মারা যায়।

এদিকে রাত ১১টার দিকে মুনমুনের মরদেহ সিটি জেনারেল হাসপাতালের সামনে আনা হলে শোকের ছায়া নেমে আসে। রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়। এ সময় ওই হাসপাতালের কোনো কর্তব্যরত ডাক্তারের দেখা পাওয়া যায়নি। তাদের ব্যবহৃত হটলাইন ও সাইনবোর্ডে ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close