নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ আগস্ট, ২০২২

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের দুই মন্ত্রী পৃথক সফরে ঢাকায়

আলোচনায় প্রাধান্য পাবে উন্নয়ন ও রোহিঙ্গা ইস্যু

তাইওয়ান ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের উত্তেজনার মধ্যেই ঢাকায় এসেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। চার দিনের সফরে শনিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থাবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসন। এর আগে বিকাল ৫টার দিকে আসেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এই দুই মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় স্থান পাবে উন্নয়ন, বাণিজ্য এবং রোহিঙ্গা ইস্যু। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সফর যুক্তরাষ্ট্রের বহুপক্ষীয় অগ্রাধিকারের বিষয়ে আলোচনার জন্য। অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার বিরুদ্ধে লড়াই, বিশ্বস্বাস্থ্য, মানবাধিকার ও মানবিক চাহিদা, শান্তিরক্ষা ও শান্তি আনয়ন ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সহায়তা। এছাড়া জাতিসংঘে মার্কিন সহযোগিতাকে আরো গভীর করা এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের পরবর্তী মহাসচিব পদের জন্য ডোরেন বোগদান-মার্টিনের প্রার্থিতার পক্ষে সমর্থন আদায় করার বিষয়টিও বৈঠকগুলোতে গুরুত্ব পাবে।

বিমানবন্দরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুুর রাজ্জাক। সেখান থেকে ধানমন্ডিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ওয়াং ই। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া নৈশভোজে তিনি অংশ নেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে চীনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে। আজ রবিবার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তার। পরে সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে দুপুর নাগাদ ঢাকা ছাড়বেন ওয়াং ই।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরকালে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি চুক্তি ও সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এসব চুক্তি ও সমঝোতার মধ্যে রয়েছে সংস্কৃতিবিষয়ক সহযোগিতা, দুর্যোগ প্রতিরোধবিষয়ক সহযোগিতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সহযোগিতা, দুই দেশের মধ্যে টেলিভিশন প্রোগ্রাম বিনিময়বিষয়ক সহযোগিতা ইত্যাদি।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে অত্যন্ত মূল্যায়ন করি। এই সফর সম্পর্ককে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করবে। পাশাপাশি দুই দেশের নেতাদের মধ্যে অভিন্ন সমঝোতা বাস্তবায়ন ও পারস্পরিক সুবিধাজনক সহযোগিতাকে ‘গভীর’ করার সুযোগ দেবে। আমরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও শেয়ার্ড স্বার্থবিষয়ক আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে মতবিনিময় করব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close