নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ আগস্ট, ২০২২

আ.লীগের বক্তব্য

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি জনগণের স্বস্তি বিবেচনা করেই

অস্বাভাবিকভাবে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে ভোগান্তিতে পড়েছে দেশের সাধারণ মানুষ। শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকেই রাস্তায় গণপরিবহনের সংকট দেখা গেছে। সেই সঙ্গে অনৈতিকভাবে ভাড়া বৃদ্ধির অভিযোগ যাত্রীদের। সরকারের এমন পদক্ষেপের বিষয়ে এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি পরিষ্কার করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

শনিবার দুপুরে দলটির ভেরিফাইড অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই সংক্রান্ত একটি পোস্টে বলা হয়- বিপিসির ব্রেক ইভেন অর্থ আন্তর্জাতিক বাজারে যদি ডিজেল প্রতি ব্যারেল ৭৪.০৪ ডলার এবং অকটেন প্রতি ব্যারেল ৮৪.৮৪ ডলারে নেমে আসে তবে ডিজেল ও অকটেন প্রতি লিটার যথাক্রমে ৮০ টাকা ও ৮৯ টাকায় অর্থাৎ আগের (৫ আগস্ট ২০২২) মূল্যে বিক্রয় করা সম্ভব হতো যা এখন প্রায় অসম্ভব। একইভাবে অপরিশোধিত তেলের মূল্য জুন মাসে ব্যারেল প্রতি ১১৭ মার্কিন ডলার অতিক্রম করে যা এখনো অব্যাহত আছে।’ পোস্টে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় জনগণের স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। যত দিন সম্ভব ছিল তত দিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা করেনি। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ে বাধ্য হচ্ছে সরকার। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনঃসমন্বয় করবে সরকার।’

পোস্টে আরো বলা হয়, ‘ভারত ২২ মে থেকে কলকাতায় ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৯২.৭৬ রুপি এবং পেট্রল লিটার প্রতি ১০৬.০৩ রুপি নির্ধারণ করেছে। এই মূল্য বাংলাদেশি টাকায় যথাক্রমে ১১৪.০৯ টাকা এবং ১৩০.৪২ টাকা। (১ রুপি=গড় ১.২৩ টাকা)। বাংলাদেশে কলকাতার তুলনায় ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩৪.০৯ এবং পেট্রল লিটার প্রতি ৪৪.৪২ টাকা কমে বিক্রয় হচ্ছিল। মূল্য কম থাকায় তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা শতভাগ। এশিয়ার অন্য দেশ যেমন- নেপালে ডিজেল ১২৭ টাকা, ইন্দোনেশিয়া ১৩৮, সিঙ্গাপুর ১৮৯ টাকা, চীন ১১৮ টাকা, আরব আমিরাত ১২২.৮০ টাকা ও হংকংয়ে ২৬০ টাকা। আমেরিকাণ্ডইউরোপেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close