হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

  ০৬ আগস্ট, ২০২২

মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা

আহত আয়াত মারা গেছেন

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় টানা ৭ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন আয়াতুল ইসলাম আয়াত (১৭)। সে হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সিএনজিচালক আবদুল শুক্কুরের ছেলে। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১২।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথম থেকে আয়াতের অক্সিজেন স্যাচুরেশন কম ছিল। তাই তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আমাদের প্রথম থেকেই শঙ্কা ছিল তাকে নিয়ে। কারণ দুর্ঘটনায় তার মাথায় ও ঘাড়ে মারাত্মক আঘত লাগে। এরপর থেকে জ্ঞান ফেরেনি তার। এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে তার অবস্থার আরো অবনতি হতে থাকে। একপর্যায়ে সে মারা যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তোফাইল আহমেদ জানান, শুক্রবার দুপুর দেড়টায় আয়াতের মৃত্যুর খবর আমরা জানতে পারি। রাত ১০টায় স্থানীয় ছমদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা হয়। এরপর তার লাশ চিকনদন্ডী ইউনিয়নের পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হয়।

গত ২৯ জুলাই খৈয়াছড়া ঝরনা ঘুরে ফেরার পথে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়ায় লেভেলক্রসিংয়ে ট্রেনের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৬ জন। তারা সবাই হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার এলাকার ‘আর অ্যান্ড জে’ নামক একটি কোচিং সেন্টারের ছাত্র ও শিক্ষক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close