নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৪ আগস্ট, ২০২২

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আর বাংলাদেশ সমার্থক শব্দ

শোকের মাস আগস্টের আজ ৪ দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেতনার অপর নাম আমাদের এই বাংলাদেশে। কারণ তার নামের ওপরই প্রতিষ্ঠিত আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (১৯২০-৭৫) আদর্শের প্রচার এখন দেশ জুড়ে বেড়েছে। তরুণ প্রজন্ম জানতে পেরেছে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের কথা। পাকিস্তান শোষণ-শাসনের বিরুদ্ধে তার অকতোভয় লড়াইয়ের কথা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু; পাকিস্তানি শাসকদের জেল-জুলুম, নিগ্রহ-নিপীড়ন যাকে সদা তাড়া করে ফিরেছে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে উৎসর্গীকৃত-প্রাণ, সদাব্যস্ত সেই মহান ব্যক্তি স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও দেশবাসীর হৃদয়ে জীবন্ত। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বর্তমান তরুণ প্রজন্মের একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে জেগে ওঠা এবং জঙ্গিবাদ নির্মূলের প্রচেষ্টাকে সেই জীবন্ত মহাপুরুষের আদর্শের ধারাবাহিকতা হিসেবে গণ্য করা যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি বঙ্গবন্ধুর সেই সাহসী ও জনদরদি গুণগুলো।

বঙ্গবন্ধু সর্বতোভাবে মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন। সাধারণ মানুষের দুঃখণ্ডদুর্দশার অবসান ঘটাতে নিজের জীবন বিপন্ন করেছিলেন। তার জীবনের সিংহভাগ কেটেছে পাকিস্তানি স্বৈরশাসকদের কারাগারে। ছাত্রজীবনের শুরু থেকে বাস্তব রাজনীতিতে কাজের অভিজ্ঞতা তিনি অর্জন করেন। রাজনীতিতে জড়িত হয়েছিলেন দেশের মানুষের দুঃখ ঘোচানোর জন্য। কর্মী থেকে হয়েছেন জাতির পিতা। গণমানুষের প্রিয় নেতা ছিলেন তিনি। কর্মনিষ্ঠ, ধৈর্য, সংগ্রামী চেতনা, আপসহীনতা আর অসীম সাহসিকতার জন্য যুগস্রষ্টা নেতা হয়েছিলেন তিনি। তিনি বিশ্বমানের নেতাদের মধ্যে ঠাঁই করে নিয়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close