শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে দেশের ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী এক লাখ নিম্ন আয়ের পরিবারের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু হয়। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

এ সময় তিনি বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রির এ কার্যক্রমে ডিলার বা জনপ্রতিনিধিদের কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কার্ডধারী একটি পরিবার সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৫৫, এক কেজি মসুর ডাল ৬৫ ও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে পেঁয়াজ বিক্রি হবে শুধু সিটি করপোরেশন এলাকা ও টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয় সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে।

গত মে মাসে পণ্য বিক্রির ঘোষণা দিয়ে তা আবার স্থগিত করেছিল টিসিবি। এক কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়ার কাজ শেষ না হওয়ায় তখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানায় সংস্থাটি। আগস্ট মাস জুড়েই সারা দেশে এ কার্যক্রম চলবে।

৩১ জুলাই টিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে। ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে চলবে টিসিবির এ কার্যক্রম। নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবার ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য (তেল, চিনি, ডাল ও পেঁয়াজ) পাবে।

এ দফায় নিম্ন আয়ের পরিবার কার্ডধারী ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, এক কেজি মসুর ডাল ৬৫ টাকা ও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০ টাকা দরে বিক্রি হবে। তবে পেঁয়াজ বিক্রি হবে শুধু সিটি করপোরেশন এলাকা ও টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয় সংশ্লিষ্ট জেলাসমূহে।

বিক্রয় কার্যক্রম শূধু মহানগরী ও আঞ্চলিক কার্যালয় সংশ্লিষ্ট জেলাসমূহে পরিচালনা করা হবে। ডিলারের দোকান কিংবা নির্ধারিত স্থায়ী স্থাপনা থেকে সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী চলবে বিক্রয় কার্যক্রম।

"