নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৪ জুলাই, ২০২২

রপ্তানি আয়ে রেকর্ড

বছরজুড়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় থাকায় দেশের পণ্য রপ্তানি খাত প্রথমবারের মতো ৫২ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে; রপ্তানি আয়ে মোট প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গতকাল রবিবার সদ্য সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরের পণ্য রপ্তানির প্রাথমিক তথ্য প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

এতে দেখা যায়, গত অর্থবছরের ১২ মাসে বাংলাদেশ থেকে ৫ হাজার ২০৮ কোটি ২৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ এগিয়ে এবং আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি। রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্র ছিল ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ১৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৮৭৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। গত অর্থবছরে প্রধান পণ্য তৈরির পোশাকের রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩৫ শতাংশের বেশি। জুন মাসে একক মাসে রপ্তানি বেড়েছে ৩৭ শতাংশ।

এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বসাকুল্যে ৩ হাজার ৮৭৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানির ওপর ভিত্তি করে পরের বছরের জন্য ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল।

ইপিবি জানায়, যদি ৮০০ কোটি ডলারের সেবা রপ্তানিকে হিসাবে যোগ করা হয়, তাহলে অর্থবছর শেষে রপ্তানি আয় ৬০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। আগামী অক্টোবর পর্যন্ত রপ্তানি বাড়তে থাকবে বলে আশা করা হয়।

এর আগে একক মাসে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় এসেছিল সদ্য সমাপ্ত বছরের অক্টোবরে। ওই মাসে মোট পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ডলারের; প্রবৃদ্ধি ছাড়িয়েছিল ৬০ শতাংশের বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রপ্তানি হয়েছিল ১ হাজার ৯২৩ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের পণ্য। সেই হিসাবে এ সময়ের সার্বিক প্রবৃদ্ধি ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ আয়; বছরজুড়ে প্রবৃদ্ধিও অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

রপ্তানির সার্বিক পরিস্থিতি দেখে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেন, পরিকল্পিতভাবে রপ্তানি বাড়ানোর যে প্রচেষ্টা ছিল এটা তারই সুফল। প্রধানমন্ত্রী রপ্তানি খাতের ওপর অব্যাহত নজর রেখেছিলেন। কোভিড পরবর্তী সময়ে সার্বিক অবস্থাটা ভালো ছিল, সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা ছিল। আমাদের রপ্তানিটা বেড়েছে, নতুন নতুন অনেক আইটেম বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করছে। এ বছর আশা করছি আরো ইমপ্রুভ করবে। আমরা সেবা ও পণ্য মিলিয়ে ৫১ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছিলাম। সেটা এখন ৬০ বিলিয়নের ঘরে এসে থেমেছে। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানি থেকে এসেছে ৫২ বিলিয়ন আর সেবা রপ্তানি থেকে এসেছে ৮ বিলিয়ন ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি হয়েছে যেটা আসলেই একটা ভালো খবর। এ বছর আমরা ৬৫ বিলিয়ন ডলারের একটা লক্ষ্য ঠিক করতে চাচ্ছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close