নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৪ জুলাই, ২০২২

ইসির সঙ্গে বৈঠক

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা ১৪ রাষ্ট্রদূতের

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেটিভ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টভুক্ত (ওইসিডি) দেশগুলো। গতকাল রবিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাইকমিশনের নেতৃত্বে সংগঠনটির ১৪টি দেশের কূটনীতিক নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতে এ অভিমত জানান।

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিকাল ৩টা থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষাতে প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আহসান হাবিব, রাশিদা সুলতানা ও মো. আলমগীর।

বিশ্বের ৩৮টি দেশ ওইএসডির সদস্য হলেও এদিন ১৫টি দেশের প্রতিনিধিদের আসার কথা ছিল। তবে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুর আসেননি। যার ফলে বৈঠকে ১৪টি দেশের প্রতিনিধি ছিলেন।

বৈঠকের ব্যাপারে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘তারা এসেছেন এটা একটা ট্রেডিশন। আগেও এসেছেন তারই ধারাবাহিকতা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইনকানুন, আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা আমাদের কার্যক্রমগুলো জানিয়েছি। তারা সাধারণত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর জোর দিয়ে থাকেন। সেজন্যই ওনারা ইলেকশনটা যদি ইনক্লুসিভ, একসেপ্টেবল, ফ্রি এবং ফেয়ার হয়, তাহলে তারাও খুশি হবেন, পুরো দেশবাসী খুশি হবে- এই আশাবাদ তারা ব্যক্ত করেছেন।’

সিইসি বলেন, ‘আমরা বলেছি, আমাদের দিক থেকে ইলেকশন কমিশন হিসেবে আমাদের যা যা করণীয় আমরা করব। তারা প্লিøজড। বলেছি ভবিষ্যতেও যখন প্রয়োজন হয়, আসবেন।’

কোনো সহযোগিতা করার বিষয়ে তারা কিছু বলেছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ওরা যেটা বলেছে সহযোগিতা করার কথা। আমরা চট করেই নিজেরা কিছু বলিনি। আমরা বলেছি আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দেখব। কোনো টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স যদি প্রয়োজন হয়, তাদের জানাব।’

সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘তারা পর্যবেক্ষকের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি আমাদের এদিক থেকে কোনো বাধা নেই। তবে এ বিষয়ে ডিপ্লোম্যাটিকেলি আলোচনা করে দেখতে পারেন। ফরেন অবজারভারদের বিষয়ে আপনারা ফরেন মিনিস্ট্রিতে একটু কথা বলে দেখতে পারেন।’

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্বের বিষয়ে কোনো কথা বলেছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এ বিষয়ে তারা তেমন কিছু বলেননি। তারাও খুব ভালো করেই জানেন এখনো কিছু কিছু দল ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। তারাও বিশ্বাস করেন, আমরাও চেষ্টা করে যাব, যেন ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।’

সাক্ষাৎ শেষে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনী পরিবেশ দেখতে চাই। এজন্য নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত, দেশের গণতন্ত্র আরো কার্যকর ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনকে যেকোনো সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।’

ওইসিডি সদস্য দেশগুলো বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাকে আরো শানিত করার মধ্য দিয়ে নাগরিকদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সহায়তা করতে চায় বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত নাথালি। নির্বাচনে গণমাধ্যম ও সুশীলসমাজের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিতে করার কথাও বলেন এই কূটনীতিক।

১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, কানাডার হাইকমিশনার লিলিও নিকলস, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইননি এস্ট্রুপ পিটারসেন, ফ্রান্সের সহকারী রাষ্ট্রদূত গুইলাম অঁড্রে ডি কেরড্রেল, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার, ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতা, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন, স্পেনের ফ্রান্সিসকো ডিএসএস বেনতেজ সালাস, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান এবং জাপানের হেড অব মিশন ইয়ামায়া হিরোয়ুকি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close