প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৮ জুন, ২০২২

ব্র্রিটিশমন্ত্রীকে মোমেন

এক লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিন

ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাকারী উল্লেখ করে দেশটিকে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুুল মোমেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এক লাখ রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসনের বিষয়ে বিবেচনা করতে পারে যুক্তরাজ্য। এতে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের বোঝা কিছুটা হলেও কমবে। স্থানীয় সময় গত রবিবার রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিজাবেথ ট্রাসকে ড. মোমেন এ প্রস্তাব দেন। এ সময় যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমও উপস্থিত ছিলেন।

ড. মোমেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, যুক্তরাজ্য গত তিন বছরে মিয়ানমারে আড়াই বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে। দু’দেশের বাণিজ্য হয়েছে ৫০০ মিলিয়নের বেশি। তাদের উচিত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চাপ দেওয়া।

জবাবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিজাবেথ ট্রাস বলেন, যদি যুক্তরাজ্য এটির দিকে নজর দিতে পারে। তবে রোহিঙ্গা সংকটের সর্বোত্তম সমাধান হবে পাশাপাশি তাদের স্বদেশে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির অভাবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ট্রাস রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যুক্তরাজ্যের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আসিয়ান ও এর সহযোগী জি৭ দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াবে। খবর বাসসের।

বৈঠকে মোমেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়িক ভিসা কম দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরলে ব্রিটিশ মন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষার্থীর কম সংখ্যার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতি বছর অন্তত ৭ থেকে ৮ হাজার উচ্চশিক্ষার্থী যাতে যুক্তরাজ্যে যেতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়িক ভিসা সুবিধা ঢাকাকে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান।

ব্রিটেন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে উভয়মন্ত্রী দুদেশের রাজধানীতে যৌথভাবে গ্লোবাল গার্লস অ্যাডুকেশন সামিট, ক্লাইমেট লিডার্স ডায়ালগ এবং রোহিঙ্গা সম্মেলন আয়োজনে দুই দেশের পররাষ্ট্রদপ্তরের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান।

উভয়ে বর্তমান ইউক্রেন পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বিশ্বখাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহসহ আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারে নিবিড়ভাবে কাজ করতে সম্মত হন।

দুদেশের মন্ত্রী বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আলোচনার মাধ্যমে উভয় দেশের বর্ধিত বাণিজ্য অংশীদারিত্ব ও এবং একটি ভবিষ্যৎ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি অন্বেষণ করার বিষয়ে আবারও একমত হন। ড. মোমেন বিশেষ করে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ঐতিহাসিক এ বছরে যত দ্রুত সম্ভব ট্রুসকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close