নিজস্ব প্রতিবেদক
যুক্ত হবে ৩২ দেশ
স্বপ্নের পদ্মা সেতু। যার সংযোগ সীমানা দেশ ছাড়িয়ে যাবে বিদেশেও। শুধু বাংলাদেশের ভেতরেই নয় এশিয়ান হাইওয়ের মাধ্যমে সড়ক পথে বিশ্বের অন্তত ৩২টি দেশের সঙ্গে সেতুবন্ধ তৈরি করবে।
ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলা ছাড়াও এ সেতু যুক্ত হবে এশিয়ান হাইওয়ের একাংশের সঙ্গে। এশিয়ান হাইওয়ের তিনটি রুটের মাধ্যমে তৈরি হবে এই সংযোগ। যার দৈর্ঘ্য হবে ১ লাখ ৪৫ হাজার কিলোমিটার। আর দেশের ভেতরে এই সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৭৫৭ কিলোমিটার।
এশিয়ান হাইওয়ে এএইচণ্ডওয়ানরুট হলো- গুয়াহাটি-তামাবিল-সিলেট-শায়েস্তাগঞ্জ, নরসিংদী-কাঁচপুর-ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা-ভাটিপাড়া-কালনা ফেরিঘাট-নড়াইল-যশোর-বেনাপোল-পেট্রাপোল। দৈর্ঘ্যে ৪৯১ কিলোমিটার। অর্থাৎ সড়কপথে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের আসামের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের দূরত্ব হবে এটি। বর্তমানে রাজ্য দুটির যাতায়াতে পাড়ি দিতে হয় ১ হাজার ১২৬ কিলোমিটার।
‘এএইচণ্ডটু’ রুট হলো- গুয়াহাটি-তামাবিল-সিলেট হয়ে ঢাকার মধ্য দিয়ে বগুড়া-রংপুর-বাংলাবান্ধা হয়ে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত। যার দৈর্ঘ্য হবে ৫১২ কিলোমিটার। আর টেকনাফ-কক্সবাজার হয়ে ঢাকা-জয়দেবপুর দিয়ে খুলনা-মোংলা পর্যন্ত ‘এএইচ ফোর ওয়ান’ রুট। যার দৈর্ঘ্য ৭৫৪ কিলোমিটার। এছাড়া পদ্মা সেতুতে থাকবে রেলপথ, যা যুক্ত হবে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে। যাতে যুক্ত হবে ভারতের পেট্রাপোল-বাংলাদেশের বেনাপোল-যশোর-নড়াইল-ঢাকা-চট্টগ্রাম হয়ে ঘুনধুম হয়ে মিয়ানমার পর্যন্ত।
এশিয়ান হাইওয়ের মাধ্যমে জাপান-কোরিয়া-চীন-ইন্দোনেশিয়া-বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান-মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ হয়ে ইরানের তুর্কি সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত হবে এই সংযোগ। যাতে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
"