নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ জুন, ২০২২

শনাক্ত আরো বেড়ে ১৩১৯

দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ঊর্ধ্বমুখী ধারার মধ্যে ১৩১৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে; আর মৃত্যু হয়েছে আরো একজনের। এতে দৈনিক শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশে পৌঁছেছে। আগের দিন এই হার ছিল ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার করোনাবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ২১৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩১৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৫২৮ জন। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ১৩১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরো ১২৭ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৬ হাজার ২৩২ জন সেরে উঠলেন।

করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের দাপট কমে আসার পর শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে ছিল বেশ কিছুদিন। দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দশের নিচেও নেমেছিল। মাঝে ২০ দিন কোভিডে কারো মৃত্যু হয়নি। কিন্তু জুন মাসের শুরু থেকে আবারও সংক্রমণ বাড়ছে প্রতিদিন। গত চার দিন ধরে মৃত্যুর খাতাও আর শূন্য থাকছে না।

এ বিষয়ে দেশের টিকা বিশেষজ্ঞ ডা. তাজুল ইসলাম বলছেন, আসলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ রকম ঘটছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং ভারতসহ অনেক দেশেই এ রকম দেখা গেছে। একবার কমে, এরপর আবার বাড়ে। আমাদের দেশেও কিছুদিন সংক্রমণ কম থাকার পর এখন বাড়ছে।

ডা. তাজুল বলেন, কমপক্ষে ১০টি কারণে এখন দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। প্রথম কারণ হলো টিকা গ্রহণ করার পর অথবা করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর শরীরে যে অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সৃষ্টি হয়, তার কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমে আসে এবং আট-নয় মাসের মধ্যে এটা ক্ষয় হয়ে যায়। ফলে আবার করোনায় সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য দুবার টিকা গ্রহণের পরও আবার নির্দিষ্ট সময় পর বুস্টার ডোজ নিতে হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, বুস্টার ডোজের পরও একটি নির্দিষ্ট সময়কাল পর আবার টিকা নেওয়ার প্রয়োজন হয়।

ডা. তাজুল আরো বলেন, আমাদের দেশে প্রথম বুস্টার ডোজ গ্রহণের মাত্রা বেশ কম, যা ২০ শতাংশের নিচে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনো দুই ডোজ টিকার পুরো কোর্সের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে হয়তো ১০ শতাংশের কম জনসংখ্যাকে। এটা একটি সমস্যা। আমাদের দেশে প্রথম বুস্টার ডোজ গ্রহণের মাত্রা ২০ শতাংশের নিচে বলে আবার করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়।

ডা. তাজুল বলেন, গত কয়েক মাস করোনায় সংক্রমণের হার কম ছিল বলে আমাদের মধ্যে একধরনের উদাসীনতার ভাব দেখা দেয়। স্বাস্থ্যবিধি মানার অভ্যাস যতটুকু গড়ে উঠেছিল, সেটা এখন নেই বললেই চলে। এর ফলেও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।

কমপক্ষে ১০টি কারণে এখন দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। প্রথম কারণ হলো টিকা গ্রহণ করার পর অথবা সংক্রমিত হওয়ার পর শরীরে যে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয়, তার কার্যকারিতা কমে আসা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close