নিজস্ব প্রতিবেদক
কারাগারে হাজী সেলিম
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম আত্মসমর্পণ করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে দুপুরে আগে আবেদন করেন হাজী সেলিম। আত্মসমর্পণসহ জামিন চান তিনি। একই সঙ্গে আরো দুটি আবেদন করা হয়। একটি হচ্ছে উন্নত চিকিৎসার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া ও কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়া। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। অন্য দুটি আবেদনের বিষয়ে উল্লেখ করেন কারা বিধি অনুযায়ী হাজী সেলিমকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত-৭। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। আপিল শুনানি শেষে গত বছর ৯ মার্চ বিচারিক আদালতের দেওয়া ১৩ বছরের কারাদণ্ড কমিয়ে ১০ বছর বহাল রেখে রায় দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে এ সাজা দেওয়া হয়। তবে তথ্য গোপনের অভিযোগে বিচারিক আদালতে তার যে তিন বছরের সাজা হয়েছিল তা বাতিল করা হয়। এদিকে, হাজী সেলিমের আত্মসমর্পণ ঘিরে আদালতপাড়ায় দুপুর থেকেই তার কর্মী-সমর্থক ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করতে থাকেন। এজলাসের দরজায়ও অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর উপস্থিতি চোখে পড়ে।
এজলাসের বাইরে অবস্থান করা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন মিয়া বলেন, আমাদের নেতা হাজী সেলিম আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এসেছেন। আমরাও বিপদে-আপদে তার পাশে থাকার জন্যই এখানে এসেছি।
এজলাসের দরজায় এ সময় দক্ষিণ সিটির ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবদুল মান্নান, ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন কাবুলসহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর ও শতাধিক নেতাকর্মীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
"