নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৩ মে, ২০২২

সরকারি কর্মচারীরা চান ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা

২০ গ্রেডের পরিবর্তে ১০ গ্রেড (ধাপ) চালু ও অন্তর্বর্তীকালীন ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতাসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি বাস্তবায়ন ঐক্য ফোরাম। গতকাল রবিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের আহ্বায়ক হেদায়েত হোসেন বলেন, পে-স্কেল বাস্তবায়নের আগে অন্তর্বর্তীকালীন কর্মচারীদের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, আনুতোষিকের হার এক টাকার সমান ৩০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯-এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে। ৩০ লাখ টাকা গৃহঋণ, ৩০ শতাংশ পোষ্যকোটা চালু ও কর্মচারী কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে হবে।

সংগঠনের মুখ্য সমন্বয়ক ওয়ারেছ আলী বলেন, বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সব ভাতা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সমন্বয়ক লুৎফর রহমান বলেন, বৈষম্য নিরসন না করে পুনরায় বৈষম্যের বেড়াজাল তৈরি করা হচ্ছে, যা কোনোভাবে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাশিত নয়। সচিবালয়ের বাইরে সব দপ্তর ও অধিদপ্তরের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন ও ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা না হলে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করা হবে, যা সাধারণ কর্মচারীরা কখনো মেনে নেবেন না। ১১ থেকে ২০ গ্রেডের এই বঞ্চিত লাখ লাখ কর্মচারীকে বাদ দিয়ে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব নয়। বিষয়টির বিভিন্নভাবে সরকারের উচ্চ মহলে জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (তোতাণ্ডগাজী), বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেমণ্ডশাহীন), ১১-২০ সরকারি চাকরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম, বাংলাদেশ ১৬-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারী সমিতি, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদ, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ, বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি, বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close