ক্রীড়া প্রতিবেদক
অনেক প্রাপ্তির ম্যাচ ড্র
শ্রীলঙ্কার স্কোর থেকে প্রথম ইনিংসে ৬৮ রানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের সামনে জয়ের সুযোগ হাতছানি দিচ্ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১ রানেই লঙ্কানদের ছয় ব্যাটসম্যানকে ফেরায় স্বাগতিকরা। কিন্তু দুশ্চিন্তা বাড়তে দেননি দিনেশ চান্দিমাল এবং নিরোশান ডিকওয়েলা। এই দুজনের নিরবচ্ছিন্ন জুটির পর শেষ সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ড্র মেনে নেয় দুই দল।
৩৯ রানে ২ উইকেটে হারিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে লঙ্কানরা। ১৮ রানে অপরাজিত থেকে কাল শেষ দিনে ব্যাট করতে নামেন করুনারতেœ। এই বাঁহাতির সঙ্গী ছিলেন কুশাল মেন্ডিস। আগ্রাসী ব্যাটিং করে ৪৮ রানে ফিরে যান মেন্ডিস। এরপর রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস।
১২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশন শেষ করে শ্রীলঙ্কা। করুনারতেœ ৪৪ এবং ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ১২ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনে ব্যাট করতে নামেন। ফিফটি হাঁকানোর পর ব্যক্তিগত ৫২ রানে তাইজুলে বলে মুমিনুল হক সৌরভের হাতে ক্যাচ দেন করুনারতেœ। অধিনায়কের পর ডি সিলভাও বিদায় নেন। ৩৩ রানে সাকিব আল হাসানের শিকার হন এই ক্রিকেটার। সপ্তম উইকেটে ৯৯ রানের জুটি গড়েন চান্দিমাল এবং ডিকওয়েলা। চান্দিমাল ৩৯ ও ডিকওয়েলা ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৮২ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার তাইজুল।
প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। এক রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হন ম্যাথুস। দিনেশ চান্দিমাল এবং কুশাল মেন্ডিসের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৬৬ এবং ৫৪ রান। ৬ উইকেট নেন তরুণ অফ স্পিনার নাঈম হাসান। সাকিব আল হাসানের শিকার ৩ উইকেট।
দুটি করে সেঞ্চুরি এবং ফিফটিতে শ্রীলঙ্কার বড় রানের জবাব দেয় বাংলাদেশ। ৪৬৫ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস শেষ করে স্বাগতিক দল। সর্বোচ্চ ১৩৩ রান করেন তামিম ইকবাল খান। মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে আসে ১০৫ রান। লিটন কুমার দাস এবং মাহমুদুল হাসান জয় খেলেন যথাক্রমে ৮৮ এবং ৫৮ রানের ইনিংস। ৬০ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন বিশ্ব ফার্নান্দোর কনকাশন সাব কাসুন রাজিথা। আসিথা ফার্নান্দোর শিকার ৩ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
১ম টেস্ট, চট্টগ্রাম (টস : শ্রীলঙ্কা/ব্যাটিং)
শ্রীলঙ্কা : ৩৯৭ ও ২৬০/৬, ৯০.১ ওভার (ডিকওয়েলা ৬১*, করুনারতেœ ৫২, কুসাল ৪৮, তাইজুল ৪/৮২, সাকিব ১/৫৮)
বাংলাদেশ : ৪৬৫/৯ ডিক্লে., ১৬৫.১ ওভার (তামিম ১৩৩, মুশফিক ১০৫, লিটন ৮৮, রাজিথা ৪/৬০,
আসিথা ৩/৭২)
ফল : মাচ ড্র
"