নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে চাঁদাবাজি
ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আসাদুজ্জামান খান কামালের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজির অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ওরফে সাহেদী হোসেনকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব সদস্যরা। এ খবর শোনার পর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহাম্মেদের নেতৃত্বে শতাধিক ব্যক্তি সাঈদীকে ছিনিয়ে নিতে র্যাবের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার কারণে জোরায়েরকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে কিছু লোক চাঁদাবাজি করে আসছে এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত বুধবার রাত ৩টার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের আভিযানিক দল। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড গুলি ও ৫৭৮ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির বিষয়টি স্বীকার করে সাঈদী। এছাড়া সে তার সহযোগীদের নিয়ে অস্ত্রসহ মহড়া দিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল বলেও স্বীকার করে।
তিনি আরো বলেন, অভিযান শেষে সাঈদীকে নিয়ে র্যাব সদস্যরা রাস্তায় বের হলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জোবায়ের আহাম্মেদের নেতৃত্বে ১৫০ থেকে ২০০ জন সাঈদীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা র্যাবের আভিযানিক দলের ওপর আক্রমণ করে। তখন র্যাবের আভিযানিক দল আত্মরক্ষার্থে ও সরকারি দায়িত্ব পালনের জন্য জোবায়ের আহাম্মেদকে গ্রেপ্তার করলে অন্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় তাদের আক্রমণে র্যাবের দুই সদস্য আহত হন। এছাড়া গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় মামলা করা হয় বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
জানা যায়, সাঈদী হোসেন আগে সবুজবাগ থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। চাঁদাবাজি, মাদক সম্পৃক্ততা ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ২০১৯ সালে তাকে ওই পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২০২১ সালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সই করা একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসে। এই চিঠিতে সাঈদী হোসেনকে মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদ দেওয়ার কথা জানানো হয়। তখন থেকেই সাঈদী হোসেন এই পরিচয়ে তার কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন।
"