ঢাবি প্রতিনিধি

  ০৯ মে, ২০২২

অনুষ্ঠানে ঢাবি ভিসি

বঙ্গবন্ধুও গভীর অনুরাগী ছিলেন রবীন্দ্রনাথের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও রবীন্দ্রনাথের গভীর অনুরাগী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় বাঙালি গণমানুষ সম্মিলিতভাবে একটি কঠিন সংকটকে উতরে যে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছে, এটি বঙ্গবন্ধুর কাছে একটি পরম তৃপ্তির বিষয়। রবীন্দ্রনাথকে ধারণ করেন বলেই বঙ্গবন্ধু তখন বলেছিলেন, কবিগুরু তুমি দেখো, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি বাঙালি কিন্তু মানুষ হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ অন্য প্রসঙ্গে কথাগুলো বললেও সেদিন বঙ্গবন্ধুর এ কথা দ্বারা রবীন্দ্রনাথের প্রতি তার অনুরাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

গতকাল রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মানবতার সংকট ও রবীন্দ্রনাথ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন তিনি। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী।

ড. মো. আখতারুজ্জামান বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, সংকট অনেক; বিজ্ঞানের সংকট, প্রযুক্তির সংকট, অর্থের সংকট, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সংকট, মানুষের মধ্যে সম্পর্কের সংকটসহ নানা ধরনের সংকট আছে। যে সংকটের কথাই আমরা বলি না কেন, সবগুলোর কেন্দ্রবিন্দু হলো মানুষ। কেন্দ্রীয় সংকট মানবতার সংকট একটি পুঞ্জিভূত, একীভূত অথবা অন্তর্ভুক্তিমূলক সংকট। রবীন্দ্রনাথ মানবতার সংকটের কথা বলেছেন।

ড. ভীষ্মদেব বলেন, মানবতার সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের সহায় রবীন্দ্রনাথ। এ কারণে ১৫০ বছর পরও রবীন্দ্রনাথ প্রাসঙ্গিক। রবীন্দ্রনাথ তার জীবদ্দশায় দুটি বিশ্বযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তার জীবনাবসান ঘটে। মৃত্যুর আগে সমৃদ্ধ, প্রাজ্ঞ, স্থিত রবীন্দ্রনাথ এ ভয়াবহ আগামীকে প্রত্যক্ষ করেছেন বর্তমানের পটে দাঁড়িয়ে। তিনি দেখেছেন পশ্চিমা বিশ্ব কীভাবে বিজ্ঞানকে ব্যক্তি স্বার্থে, গোষ্ঠী স্বার্থে, রাজনৈতিক স্বার্থে, জাতিগত সংকীর্ণতা থেকে ব্যবহার করেছে। রবীন্দ্রনাথ সরাসরি যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেননি। তিনি তার সাহিত্যের মাধ্যমে এসবের প্রতিবাদ করতেন। চেষ্টা করতেন সংকট উত্তরণের পথ দেখাতে।

ড. ভীষ্মদেব বলেন, ব্যক্তি মানুষের মৃত্যু হয়। তবে তার কর্মের কখনো মৃত্যু হয় না। রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তিনিও তার কর্মের মাধ্যমে বেঁচে আছেন ও থাকবেন যুগ-যুগান্তর ধরে। আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close