নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২১ জানুয়ারি, ২০২২

জনসনের ৩ লাখ ৩৬ হাজার ডোজ টিকা এলো

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জনসন অ্যান্ড জনসনের ৩ লাখ ৩৬ হাজার ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রধান অধ্যাপক ডা. শামসুল হক গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা হিসেবে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এই টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। জনসনের টিকা এই প্রথম বাংলাদেশে এসেছে। এই টিকা অন্যান্য টিকার মতোই সংরক্ষণ করা যাবে।

এ নিয়ে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের ছয় ধরনের টিকা পেল। এর আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাকের টিকা এসেছে বাংলাদেশে। এসব টিকা দিয়ে সরকার সারা দেশে টিকাদান কর্মসূচি চালাচ্ছে।

তবে অন্য কোম্পানির টিকা যেখানে অন্তত দুই ডোজ দিতে হয়, জনসনের তৈরি এই করোনাভাইরাসের টিকা এক ডোজের। অবশ্য পরে বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

গত বছর জুন মাসেই জনসনের কোভিড টিকা বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জেনসেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি এই টিকার ৬৬ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়া গিয়েছিল বিশ্বজুড়ে ব্যাপক পরীক্ষামূলক প্রয়োগে। আর যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কার্যকারিতার হার ছিল ৭২ শতাংশ।

অবশ্য করোনাভাইরাসের নতুন ধরনগুলোর বিরুদ্ধে এ টিকার কার্যকারিতা পরে ততটা পাওয়া যায়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত সারা দেশে ৯ কোটি ১৩ লাখ ২২ হাজার ৫৩৮ জনকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছে সিনোফার্মের টিকা, পাঁচ কোটি পাঁচ লাখ ডোজ। এছাড়া অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ কোটি ৭৮ লাখ ডোজ, ফাইজারের এক কোটি ৫৫ লাখ ডোজ, সিনোভ্যাকের ৪৪ লাখ ডোজ এবং মডার্নার ২৮ লাখ ডোজের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে প্রথম ডোজ হিসেবে।

বুধবার পর্যন্ত ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ পূর্ণ ডোজ পেয়েছেন। তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ।

বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, সরকারের হাতে এখন ৯ কোটি ডোজ টিকা রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close