সংসদ প্রতিবেদক

  ১৮ জানুয়ারি, ২০২২

সংসদে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

কোনো রাষ্ট্র এ দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ক্ষমতা রাখে না

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে এ দেশের ১৬ কোটি মানুষ উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, পৃথিবীর যত শক্তিধর রাষ্ট্রই হোক না কেন, তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করার কোনো ক্ষমতা রাখে না। আমাদের সমস্যা থাকলে আমরা এই পার্লামেন্টে আলোচনা করব। রাজপথে যাব। আমরা সেখানে সেটার সমাধান করব। নির্বাচন কমিশনে যাব। রাষ্ট্রপতির কাছে যাব।

গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বেলা ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সংসদে দাবি করেন, গত পাঁচ বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লবিস্ট ফার্মে বিএনপি-জামায়াত কত টাকা দিয়েছে সে প্রমাণ তার কাছে আছে।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের ব্যাপারে আমার কাছে প্রথম যে ডকুমেন্ট আছে, সেটি ২০১৫ সালে একিন কোম্পানি অ্যাসোসিয়েটসের সঙ্গে। বিএনপির নয়াপল্টনের অফিসের ঠিকানা দিয়ে তাদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। মাসিক ৫০ হাজার ডলারের বিনিময়ে এবং এটি তিন বছর অব্যাহত ছিল। বছরে ছয় লাখ ডলার দেওয়া হয়েছে। তিন বছরে প্রায় ২ মিলিয়ন ডলার আসে। এ ধরনের ১০টি ডকুমেন্টস আমার কাছে আছে।’ এ সময় সংসদে তিনি ডকুমেন্টগুলো দেখান।

এর আগে বিএনপির হারুনুর রশীদ বক্তব্য রাখেন। তিনি পবিত্র কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে সত্য কথা ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার দাবি জানান।

এর জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি (হারুন) বলেছেন, জানা সত্ত্বেও মিথ্যাকে গোপন করিও না। আমি দাবি করব তার এই বক্তব্যটি তার রাজনৈতিক জীবনে পালন করছেন কিনা তা প্রমাণ করে দেখাবেন। নিজেকে সত্যিকারের মুসলমান হিসেবে যদি দাবি করে থাকেন, তাহলে সেই মিথ্যাগুলো যেন গোপন না করে থাকেন। অন্ততপক্ষে ভবিষ্যতে এবং এই সংসদে ২০২২ সালের শীতকালীন অধিবেশনে, তার দলের প্রাক্তন ও বর্তমান নেতাদের কুকর্মগুলো যেন প্রকাশ করেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা তো জানি বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে, তাহলে তিনি তার প্রার্থী, আমার এলাকা, এসব বলছেন কেন? তাহলে কী তিনি দল পাল্টেছেন? জাতীয়তাবাদী দল থেকে তিনি নতুন কোনো রাজনৈতিক দলের সূচনা করেছেন কিনা সেটা আমাদের জানতে হবে।’

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বিএনপি নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরিহার করেছে। আমি তো রাজশাহীতে দেখেছি প্রতিটি উপজেলাতেই বিএনপির প্রার্থী ছিল। তারপরও রাজশাহীর মতো জায়গায় আমার নির্বাচনি এলাকায় নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে ৬টি জায়গায়। নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে দুটি জায়গায় এবং তাদের দলের একজন নির্বাচিত হয়েছেন। একটি ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। ইউপি নির্বাচনে রাজশাহীতে গত টার্মে তার (হারুন) কোনো অভিযোগ আছে কিনা এবং গত দুই-তিন সপ্তাহ আগে যে নির্বাচন হয়ে গেছে, এ ব্যাপারে তাকে বলার জন্য অনুরোধ করব।’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমানকে এখনও কীভাবে তারা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন। একজন দুর্নীতিবাজ সাজাপ্রাপ্ত দাগি পলাতক আসামি কীভাবে একটি দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়? পবিত্র কোরআনের আলোকে আমি তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাই।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close