নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৫ জানুয়ারি, ২০২২

সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যেখানে প্রয়োজন সেখানেই তদবির চালাব

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘দেশের স্বার্থে যেখানে তদবিরের প্রয়োজন হবে, সেখানেই সরকার তদবির চালাবে। প্রতিটি দেশেই এ ধরনের তদবির করে। এটা আমেরিকার একটি প্র্যাকটিস। আমাদের দেশে আমরা তদবির বলি। ওই দেশে ওরা বলে লবিস্ট। দেশেও তো কাজ করতে গেলে অনেক সময় তদবির লাগে।’ গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে (বিলিয়া) এক আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ বিজিআর নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে লবিস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়। র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নতুন করে লবিস্ট নিয়োগ করবে কি না, জানতে চাইলে আবদুল মোমেন বলেন, ‘সময়-সময় আমাদের অনেক ধরনের দুর্যোগ আসে। আমরা সেগুলো সমাধান করি। এখনো একটা হয়তো অসুবিধা আসছে। কিন্তু আমরা এটা সমাধান করতে পারব। আমেরিকানরা পরিপক্ব জাতি। তারা দেখবে। যদিও র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, গত কয়েক বছরে সন্ত্রাস কমেছে। এটা তাদের নিরপেক্ষ সমীক্ষা। সেগুলো নিয়ে তারা চিন্তাভাবনা করবে। পৃথিবীজুড়ে সন্ত্রাস দূর করা ও সন্ত্রাসীদের ধরা তাদের লক্ষ্য। মাদক ও মানব পাচার কমানো তাদের লক্ষ্য। র‌্যাব এগুলো সফলভাবেই করছে। এ কারণেই র‌্যাব জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। আমার মনে হয়, সবাই এটা বুঝবে। তখন হয়তো অবস্থার পরিবর্তন হবে।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘গণতান্ত্রিক কারণে এ দেশ সৃষ্টি হয়েছে। গণতন্ত্রে অনেক ধাক্কা আসে। সব গণতন্ত্রেই অপরিপূর্ণতা আছে। এটা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আমরা দিনে দিনে পরিপক্বতা অর্জন করেছি। আমেরিকা পরিপক্বতা অর্জন করার মধ্যেও ধাক্কা খায়। এ ধরনের ধাক্কাটা আসে। কোথাও দুর্বলতা থাকলে, আমরা অবশ্যই তা দূর করার চেষ্টা করব।

মোমেন বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আচরণকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি মানুষের নিরাপত্তা ও উন্নয়নে বহুমুখী প্রভাব ফেলেছে। মানব ও মানব সমাজের এই আচরণগত ধরণ ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে। আইন ও আইনী শিক্ষা এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বিশ্বজুড়ে আইনি ক্ষেত্র যে অনন্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে তা মোকাবেলা করার জন্য বিভিন্ন বিষয়ের পন্ডিতদের দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করার লক্ষ্যে সম্মেলনের আয়োজন করায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স এর উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে আরো বক্তব্য দেন বিআইএলআইএ চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জমির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধ্যাপক ও ডিন ড. মো. রহমত উল্লাহ এবং বিআইএলআইএ-এর প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close