reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১২ জানুয়ারি, ২০২২

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন

এখন ঘুঘুর ফাঁদ দেখছি : তৈমূর

ভোটের মাঠে রাজনীতি : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার জমে উঠেছে। প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের দুয়ারে ছুটছেন মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এই নির্বাচন নিয়ে আগ্রহের পাশাপাশি শঙ্কাও আছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও জাতীয় রাজনীতি এতে প্রভাব ফেলেছে। পুরোমাত্রায় রাজনৈতিক রূপ পেয়েছে এই নির্বাচন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিএনপি এই বর্জন করলেও মাঠে গরম হাওয়া ছড়াতে পারে। ফলে এই নির্বাচনই আবার নতুনভাবে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়ানোর ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে। তবে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের দাবি নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ হবে। খবর নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধির

নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি ও হয়রানির অভিযোগ করে সুষ্ঠু ভোটের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার। নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তৈমূর বলেন, ‘যে কোনো পরিস্থিতিতে’ নির্বাচনের মাঠে ‘টিকে থাকতে’ লড়বেন তিনি।

বিএনপির পদ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত তৈমুর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বর্তমান মেয়র।

কয়েক দিন আগে আইভীর পক্ষে প্রচারে গিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের দেওয়া বক্তব্য তুলে ধরে তৈমূর বলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক আমাকে ‘ঘুঘুর ফাঁদ’ দেখাবেন বলেছিলেন। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিএনপির নেতাকর্মী ও আমার সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা শুরু হয়েছে। তার বক্তব্যের পর থেকে ঘুঘু ও ঘুঘুর ফাঁদ দেখা শুরু করেছি। অতি উৎসাহী হয়ে কেউ আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুমণ্ডঅত্যাচার চালাচ্ছেন। এমনিতেই বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নানা প্রশ্ন রয়েছে। তৈমূরের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে বারবার অভিযোগ দেওয়া হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

তৈমূর বলেন, মনিরুল ইসলাম রবি সিদ্ধিরগঞ্জের নির্বাচনী সমন্বয়ক। তার কাছে নির্বাচনের সব এজন্টের নিয়োগসহ অন্যান্য কাগজপত্র রয়েছে।

রবিকে আগে গ্রেপ্তার করা হলো না কেন- এমন প্রশ্ন রেখে তৈমূর বলেন, আমি যেদিন মনোনয়নপত্র কিনেছিলাম সেদিন তিনি পাশে ছিলেন। যেদিন জমা দিই সেদিনও তিনি ছিলেন, যেদিন বাছাই হয় সেদিনও রবি পাশে ছিলেন। মার্কার দিনও তারা আমার সঙ্গে ছিল। তখন তো তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

জেলার পুলিশ সুপারের উদ্দেশে তৈমূর বলেন, আপনি যদি এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নেন, গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ না করেন, তাহলে আপনার অফিসের সামনে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বসে পড়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকবে না। সেখানে থেকেই নির্বাচন পরিচালনা করা হবে।

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তৈমূর বলেন, জনগণ যে রায় দেবে, সে রায় আমরা মাথা পেতে নেব এবং জনগণের রায়ই চূড়ান্ত রায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close