মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

  ২৪ নভেম্বর, ২০২১

সুষ্ঠু নির্বাচনের উদ্যোগ

মানিকগঞ্জে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রশাসন

ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এজন্য তারা আলোচনা করছেন প্রার্থীদের সঙ্গেও। প্রশাসনের ব্যতিক্রম এই উদ্যোগে খুশি ভোটার ও প্রার্থীরা। এতে ভোটারদের মাঝে নতুন করে যোগ হয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচনের আমেজ। এই আমেজ বয়ে চলছে মানিকগঞ্জ সদরের ১০টি ইউনিয়নের ভোটার ও প্রার্থীদের মাঝে।

সদর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৩৭ জন চেয়ারম্যান, ৩৩৩ জন পুরুষ এবং ১০৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং আগামী রবিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় গড়পাড়া ও জাগীর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসনের কর্মকর্তারা গত সোমবার বিকালে সদর উপজেলার দীঘি ইউনিয়নে, সন্ধ্যায় নবগ্রামে এবং রাতে পুটাইল ও বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের ভোটার ও প্রার্থীদের সঙ্গে পথসভা করা হয়েছে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে ভোটারদের সঙ্গে আলোচনা করছেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

দীঘি ইউনিয়নের মূলজানের ষাটোর্ধ্ব নাজিমুদ্দিন বলেন, ‘আমার জীবনে দেহি নাই, আজক্যা দেখলাম। ভোট সুষ্ঠু করতে নির্বাচন অফিসার আর পুলিশের বড় অফিসার আইছে আমাগো কাছে। মনে হয় এইবার শান্তিতে ভোটডা দিতে পারুম, কোন ঝামেলা অইব না। আমরা সবাই এহন খুশি।’

বনগ্রাম এলাকার আজমত খান বলেন, ‘ভোটের সময় মাইনষের কথায় ভয় লাগে। এইবারও মনে মনে ভয় পাইছিলাম, নিজের পছন্দের প্রার্থীরে ভোট দিতে পারুম কি না। তাই ভোট নিয়া চিন্তা বাদ দিছিলাম, ভোটের দিন যাইয়্যা খালি ভোট দিতাম। কিন্তু আজক্যা দেখলাম প্রশাসনের লোকজন আমাগো কাছে আইসে। আমরা এহন আর ভয় পাই না।’

পুটাইলের হিজলাইন এলাকার আব্বাস আলী বলেন, ‘নির্বাচন অফিসার আর এসপি যেহেতু বলছে, তাইলে মনে হয় আগের চেয়ে ভালো নির্বাচন হবে। এর আগে তো শুধু প্রার্থী আর প্রার্থীর লোকজন আসত, আর এইবার প্রশাসন আইছে। প্রশাসনের লোকজনরে অনেক ধন্যবাদ, আমাগো কাছে আসার জন্য।’

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সুযোগ নেই। নির্বাচন নির্বাচনের মতো হবে। ভোটাররা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী প্রার্থীকে ভোট দিবে। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কে কোন দলের সেটা দেখার সুযোগ নেই।’

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের সময় নির্বাচনী এলাকার সব সময় খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। আর আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো সুযোগ নেই। অভিযোগ বা আমাদের কাছে তথ্য আসলে খোঁজ নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোট কথা নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসনের সহায়তা থাকবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close