জবি প্রতিনিধি

  ২১ নভেম্বর, ২০২১

বেপরোয়া জবি ফাঁড়ির ইনচার্জ নাহিদ

হঠাৎ করে বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া বন্ধ করা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঝামেলা হচ্ছে। এ নিয়ে রাজধানীতে বাসের কনডাক্টর বা সুপারভাইজারের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হচ্ছে। পুরান ঢাকার সদরঘাট বা বাংলাবাজার এলাকায় এ ধরনের ঘটনার সৃষ্টি হলেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাহিদ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হচ্ছে, তাদের লাঠিপেটা করছে, হাতকড়া পরিয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে আটকে রাখছে। অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করছে। ইনচার্জ নাহিদের বেপরোয়া আচরণে অতিষ্ঠ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, নাহিদ জগন্নাথ বিশ^দ্যিালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এফ এম শরিফুল ইসলামের ছোট ভাই। এ প্রভাব খাঁটিয়ে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, এসআই নাহিদ নিজেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দিলেও সে ছিল জবির মার্কেটিং বিভাগের সাবেক এমএলএসএস। তার বিরুদ্ধে বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের হয়রানি, তথ্য প্রমাণ ছাড়াই সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের মারধর এবং শার্টের কলার ধরে গাড়িতে তোলার অভিযোগও রয়েছে।

হয়রানির শিকার সাবেক এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করে বলেন, কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর চড়াও হয় ইনচার্জ নাহিদ। আমাদের শার্টের কলার ধরে পুলিশের গাড়িতে উঠায়। চড়-থাপ্পড় মারে। তার ভাইয়ের রাজনীতির মতো পার্থক্য হলেই এমন আচরণ বলে অভিযোগ ওই শিক্ষার্থীর।

গত বুধবার প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী বলেন, হাফ ভাড়া নিয়ে বাস শ্রমিকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে। ওই সময় পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। ছাত্ররা দৌড়াদৌড়ি শুরু করলে সবাই ক্যাম্পাসের দিকে আসে। ফাহিম নামের এক শিক্ষার্থী রাস্তায় পড়ে গেলে তাকে মারধর করতে থাকে, বুকের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরে। পরে প্রক্টর স্যারকে না জানিয়েই ফাহিমকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে নিয়ে যায়।

সামগ্রিক বিষয়গুলো নিয়ে জানতে চাইলে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার আপন বড়ভাই এফ এম শরিফুল ইসলাম। আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম। এসব পরিচয় দেই না। আমি আপনার সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে বাধ্য নই।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, এস আই নাহিদ হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে আমাদের ছাত্রকে নিয়ে যেতে পারেন না। প্রশাসনকে না জানিয়ে এমনটা করতে পারেন না। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তারা দেখবেন।

কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। তিনি এ বিষয়টি নিয়ে আর কথা বলতে রাজি হননি। এ বিষয়টি নিয়ে কোতোয়ালি থানার এসি ডা. শারমিনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close