রাজিবুল ইসলাম

  ২০ অক্টোবর, ২০২১

আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ

প্রথম ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ স্বপ্ন থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কা জেগেছিল বাংলাদেশের। সেই স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে ত্রাতা হলেন সাকিব-নাঈম। গতকাল স্বাগতিক ওমানকে ২৬ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের স্বপ্ন জিইয়ে রাখল টাইগাররা।

সাকিব ২৯ বলে ৪২ রানের পাশাপাশি বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন। ওপেনার নাঈম শেখ ৬৪ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে টাইগারদের ১৫৩ রানের ফাইটিং স্কোর উপহার দেন। বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজও রাখেন অনবদ্য ভূমিকা।

বাংলাদেশের দেওয়া ১৫৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১২৭ রানে থামে ওমানের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন ওপেনার জতিন্দার সিং।

গতকাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ‘হারলে বিদায়’- এমন জটিল সমীকরণ সামনে রেখে একাদশে একটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে টাইগাররা। তবে ঘোর অমানিশা হয়ে নেমে আসা ব্যাটিং ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে কিছুতেই বের হতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, নুরুল হাসান সোহানরা যেন ব্যাটিং করতেই ভুলে গেছেন।

টসে জিতে বাঁচা-মরার ম্যাচে প্রথম ২ ওভারে আট বলই ডট। দুই ব্যাটসম্যান ব্যাট হাতে তুলতে পারলেন ৬ রান। তৃতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ৪ রানে জীবন পান লিটন। তার সহজ ক্যাচ ফেলে দেন কাশাপ। কিন্তু সাজঘরে ফেরার বোধহয় তাড়া ছিল লিটনের। পরের বলেই আউট হলেন ৪ রান করে।

ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে শেখ মেহেদীকে ৩ নম্বরে নিয়ে আসে ম্যানেজমেন্ট। আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি মেহেদী। ফায়াজ বাটকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শূন্য হাতে। সাকিব আল হাসান ৪ নম্বরে নেমে অস্বস্তিতে ভুগেছেন অনেকক্ষণ। তবে সময়ের সঙ্গে খোলস ছেড়ে বের হন সাকিব। ততক্ষণে নাঈমের ব্যাটেও ফেরে স্বস্তি। দলীয় ২১ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশ পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে তুলতে পারে ২৯ রান।

এরপর সুযোগ পেয়ে বড় জুটি গড়েন সাকিব আর নাঈম। দুজনেই ছুটছিলেন অর্ধশতকের দিকে। কিন্তু ৮০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে সাবিক রান আউটের শিকার হন। ফেরেন ৪২ রানের ইনিংস খেলে। ২৯ বলের ইনিংসটি সাজান ৬টি চারের মারে। সাকিব না পারলেও ধীরগতির ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক তুলে নেন নাঈম। তার ফিফটি আসে ৪৩ বলে।

সাকিবের বিদায়ের পর নুরুল হাসান সোহান নেমেছিলেন ব্যাটিংয়ে। তবে সুবিধা করতে পারেননি। জেসান মাকসুদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন ৩ রান করে। তবু ব্যাট হাতে দেখা যায়নি মুশফিকুর রহিমকে। আফিফ হোসেনের ওপর আস্থা রাখে টিম ম্যানেজমেন্ট। হতাশ করেন তিনিও। ৫ বল খেলে ১ রান করে প্যাভিলিয়নে আফিফ।

তৃতীয়বার যখন ক্যাচ তুললেন নাঈম, সেবার আর সুযোগ মেলেনি। থেমে যায় তার ৬৪ রানের ইনিংস। ৫০ বল খেলে ৩টি চার ও ৪টি ছয় মারেন এই বাঁহাতি তরুণ। ১৯ বলে দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে রান তোলার গতিতে ভাটা পড়ে বাংলাদেশের। ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নামা মুশফিকুর রহিম এ ম্যাচেও সুবিধা করতে পারেননি। খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন ৬ রান করে। পরের বলেই বিদায় নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।

শেষদিকে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১০ বলে ১৭ রানের ইনিংসের কল্যাণে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় বাংলাদেশ দল। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে টাইগারদের ইনিংস থামে ১৫৩ রানে। ওমানের হয়ে ফায়াজ বাট সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close