নিজস্ব প্রতিবেদক
আরো ১৪ মৃত্যু শনাক্ত ৪৮১
দেশে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পাঁচশর কম কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং আগের দিনের চেয়ে কমে এসেছে মৃত্যুর সংখ্যা। ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ১১ জনই নারী। গত এক দিনে ২০ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৮১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪১৫ জন নতুন রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল, যা প্রায় পাঁচ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৩৫৯ জন। তাদের মধ্যে ২৭ হাজার ৬৮৮ জনের মৃত্যু ঘটিয়েছে এ ভাইরাস। গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ হয়েছে, যা আগের দিন ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ ছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে দেশে ২০ হাজার ৩৫৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৯৯ লাখ ৫২ হাজার ১৯৬টি নমুনা। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৭০ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ৩৬১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা দিনের মোট শনাক্তের চার ভাগের তিন ভাগ।
যে ১৪ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৭ জন ঢাকা এবং ২ জন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মারা গেছেন।
যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।
তাদের মধ্যে ১০ জন সরকারি হাসপাতালে এবং ৩ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। গত ৩১ আগস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
"