লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে চাচাকে খুন
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আপন চাচাকে খুন করে লালমনিরহাটের হাতিবন্ধার সোহেল রানা এখন জেলহাজতে। ঘটনার ১১ দিন পর গ্রেপ্তার সোহেল রানা পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করেছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে হাতিবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, গ্রেপ্তার সোহেল রানাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার রাতে নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত কৃষক আবদুল মালেক (৪৫) উপজেলার দোয়ানী গ্রামের বারেক আলীর ছেলে। আর অভিযুক্ত ঘাতক সোহেল রানা নিহত আবদুল মালেকের ছোট ভাই আবদুল খালেকের ছেলে।
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত আবদুল মালেকের বাবা বারেক আলী প্রতিবেশী বাবুল হোসেন, সাজু, বাবু, সফিকুল ইসলাম সফি, মিন্টু, মইনুলসহ ছয়জনের নামে হাতিবান্ধা থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে নিজ বাড়ির সামনে হত্যাকা-ের শিকার হন আবদুল মালেক। হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের পরিবারের অভিযোগ ছিল, পাশের একটি পরিবারের সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু ঘটনার ১১ দিন পর গত শুক্রবার রাতে মামলার বাদীর নাতি সোহেল রানাকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে চাচাকে হত্যার কথা স্বীকার করে। এর আগে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতিবান্ধা থানার উপপরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, সোহেলের সঙ্গে তার চাচা আবদুল মালেকের মনোমালিন্য ছিল। সেই ক্ষোভ থেকে চাচাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সোহেল। বাড়ির সামনে বসে থাকা চাচার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে সজোরে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। পরে হাতুড়িটি পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। শনিবার সকালে ওই ডোবা থেকে হাতুড়িটি উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, এর সঙ্গে আরো কেউ জড়িত কি না- সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
"