রাজিবুল ইসলাম
বিসিবিতে নির্বাচনী হাওয়া
আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন। এজন্য গত শুক্রবার থেকে পরিচালক পদের মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। ২৩ পদের জন্য মনোনয়নপত্র কিনেছেন আট প্রার্থী। গতকাল ছিল মনোনয়নপত্র কেনার শেষ দিন। এদিন ছিল বিসিবি কার্যালয়ে সকাল থেকে প্রার্থীদের ভিড়। মনোনয়নপত্র কিনেছেন বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও।
গতকাল দুপুর ২টায় মিরপুরে হাজির হন পাপন। ক্যাটাগরি-বি থেকে পরিচালক হওয়ার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি। এই ক্যাটাগরিতে ভোটার সংখ্যা ৫৬ জন। যেখানে ভোট দেবেন ঢাকার বিভিন্ন স্তরের ক্লাবের কাউন্সিলররা। এই ক্যাটাগরি থেকে পরিচালক নির্বাচিত হবেন মোট ১২ জন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আগে সরকার থেকে মনোনীত হতো। নাজমুল হাসান পাপন ২০১২ সালে প্রথমে সরকার কর্তৃক মনোনীত সভাপতি ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে বিসিবি সভাপতি পদটি নির্বাচিত হয়। ২০১৩ ও ২০১৭ সালে দুই মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পাপন। অন্যদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম। পরিচালক পদে ‘সি’ ক্যাটাগরির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দেশের প্রখ্যাত এই কোচ।
গতকাল গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি ক্যাটাগরি ‘সি’ থেকে মনোনয়নপত্র তুলেছি। নির্বাচনে লড়ব।’
বিসিবি পরিচালক পদে লড়তে এদিন দুপুরে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিকেএসপির কাউন্সিলর ফাহিম।
পরিচালক পদে ক্যাটাগরি ‘সি’ থেকে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন বিসিবির বর্তমান প্রভাবশালী পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন। ধারণা করা হয়েছিল, এই ক্যাটাগরিতে আর কেউ নির্বাচন করবেন না। অর্থাৎ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হবেন সুজন। কিন্তু ফাহিম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় মিলছে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস।
মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে আগামীকালের মধ্যে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। ওইদিন দুপুরে প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা।
আগামী ৬ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত হবে বিসিবি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সেদিনই ভোট গণনা শেষ করা হবে। পরদিন প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত ফল।
এর আগে গত শুক্রবার পরিচালক পদে মনোনয়ন তুলেছেন খালেদ মাসুদ পাইলট। জানিয়েছেন পরিচালক হয়ে নিজের বিভাগ রাজশাহীর ক্রিকেট উন্নয়নের ইচ্ছের কথা।
পাইলট বলেন, ‘খুব ইচ্ছে ছিল ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করার। অবসরের পর থেকে মাঠে, রুট লেভেলে কাজ করে আসছি। রাজশাহী বিভাগ থেকে মনোনয়নপত্র তুললাম। রাজশাহী বিভাগের কাউন্সিলররা যদি সহায়তা করেন আশা করি বোর্ডে আসব। আমি আশা করি অভিজ্ঞতা বোর্ডের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারব।’
তিনি আরো বলেন, ‘রাজশাহী অঞ্চলে ক্রিকেটের অবকাঠামোর বাজে অবস্থা, খুবই দুঃখজনক। সব জেলায় খেলা হয় না। আম্পায়ার, কোচদের সুযোগ-সুবিধা কম। যদি রাজশাহীর ৮ জেলার কাউন্সিলররা আমাকে যোগ্য ব্যক্তি মনে করেন, আমি আমার ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা বোর্ডের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চাই।’
বোর্ডে কেন আসতে চান এ নিয়ে পাইলট বলেছেন, ‘যেভাবে যাচ্ছি তা খুবই ধীর প্রক্রিয়া। আমার যে মেধা আছে তার পুরোটা প্রয়োগ করতে চাই। পুরোটা সময় আমি মাঠে সময় কাটিয়েছি। প্রত্যেক মানুষ আশা করে আমরা কিছু একটা করব। সেই দায়িত্ববোধ থেকে আমার মনে হয়েছে এটাই সেরা সময়। পাইলট প্রজেক্টের মতো দেখাতে চাই একটি বিভাগের ক্রিকেট সংস্কৃতি কেমন হওয়া উচিত।’
"