প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

চাঁদপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ শিক্ষার্থী আক্রান্ত

চাঁদপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আট শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ ঘটনায় একটি প্রতিষ্ঠান ১৫ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজনের বয়স ১২ বছরের নিচে। প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ-

চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, কচুয়ায় উপজেলার ড. মনসুরউদ্দিন মহিলা কলেজের এক পরীক্ষার্থীসহ তিন শিক্ষার্থীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ কারণে কলেজ ও ছাত্রীনিবাস ১৫ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ড. মনসুরউদ্দীন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. শহীদুল ইসলাম জানান, সরকারি নির্দেশনা মেনে আমরা প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা মেপে কলেজে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করাচ্ছি। কারো তাপমাত্রা একটু বেশি হলেই ওই শিক্ষার্থীর করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা নিচ্ছি। এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান পরিচালনা করা হচ্ছে। কলেজছাত্রী নিবাসে উঠতে ইচ্ছুক এমন ৫০ জন শিক্ষার্থীর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তন্মধ্যে একজন পরীক্ষার্থীসহ তিন শিক্ষার্থীর করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। তিন শিক্ষার্থীর করোনা শনাক্তের পর তাদের অভিভাবকদের কলেজে ডেকে এনে করোনা শনাক্ত শিক্ষার্থীদের হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার আমরা সর্বোচ্চ সচেতনা রক্ষা করে আসছি এবং কলেজ গর্ভনিং বডির সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি জানান, সদর উপজেলার বাহাদুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঁচজন শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ ঘটনায় ওই দুই শ্রেণির ক্লাস বন্ধ রেখেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাহাদুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. ফারহানা পারভীন। গত সোমবার ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির দুজন ও পঞ্চম শ্রেণির তিন ছাত্রীর করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দেওয়া হলে মঙ্গলবার তাদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। করোনায় আক্রান্ত চতুর্থ শ্রেণির দুজন ও পঞ্চম শ্রেণির তিনজনের বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। তারা সবাই মেয়ে এবং ঠাকুরগাঁও সরকারি শিশু পরিবার বালিকার সদস্য।

প্রধান শিক্ষক মোছা. ফারহানা পারভীন বলেন, আমার বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৪২৬ ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এর মধ্যে চতুর্থ শ্রেণিতে রয়েছে ৮৪ জন ও পঞ্চম শ্রেণিতে রয়েছে ৭৬ ছাত্রছাত্রী। বিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করার পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে নেওয়া হয়।

ফারহানা পারভীন বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থী জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হলে তাদের করোনা পরীক্ষায় গত মঙ্গলবার পজিটিভ পাওয়া যায়। তারা প্রত্যেকে সরকারি শিশু পরিবার বালিকা হোস্টেলে থাকে। এ ঘটনায় তাক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close