দেশের ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। তবে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় দুজনের মৃত্যুকে বেদনাদায়ক বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। ইসি সচিব বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য খুব বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক ঘটনা যে, মহেশখালী এবং কুতুবদিয়ায় একজন করে দুজন নিহত হয়েছেন।’ গতকাল সোমবার সারা দেশে ১৬০টি ইউপি নির্বাচন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, আজকে (গতকাল) ১৬০টি ইউপি ও নয়টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীদের নিজেদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ২৪ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া মোটামুটি সব জায়গায় আমরা যতটুকু খবর পেয়েছি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে।’

ইসি সচিব বলেন, ‘আপনারা জানেন, পাঁচটি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। ইভিএমে ইউনিয়নে ৫০ শতাংশ এবং পৌরসভায় ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। আর ব্যালটে ৬৫ শতাংশ হবে বলে আশা করি।’

হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘গতকাল রাতে যেটা হয়েছে প্রার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের ফলে একজন বৃদ্ধা নারী কোনোভাবে ধাক্কা খেয়ে মারা গেছেন বলে আমরা জেনেছি। এটি তদন্ত করে দেখার জন্য বলেছি। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, ইউপি নির্বাচন কিন্তু একেবারে রুট পর্যায়ে হয়। নির্বাচনী আমেজ থাকে। প্রার্থীরা এত ইমোশনাল হয়ে যান যে, নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এসব করতে গিয়ে অকস্মাৎ তারা নিজেদের মধ্যে ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন। এটি ঘটে এবং ঘটেছে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘যে ঘটনার কথা আপনারা জেনেছেন; সেটি তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে হয়েছে, মহেশখালীতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আর কুতুবদিয়ায় যেটা, আমাদের প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিতে গিয়েছে, সেখানে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রিসাইডিং অফিসারের নির্দেশে গুলি করেছে। এটি তো করতেই হবে।’

‘ইউপি নির্বাচনে কিন্তু দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এলাকার সব মানুষ অংশগ্রহণ করেন। তারা খুব বেশি ইমোশনাল হয়ে যান। তখনই এই দ্বন্দ্বগুলো হয়ে যায়, আমরা যা দেখলাম। যে ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো খতিয়ে দেখব। ভবিষ্যতে যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সে বিষয়ে সজাগ থাকব।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, তা বলব না। কেউ ভোটে অংশ না নিলে, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় সব নিয়ম না মানলে কিংবা কেউ প্রার্থিতা তুলে নিলেও অন্য একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন।’

ভোট বর্জনের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘কেউ কারচুপির কোনো অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে করে থাকলে, তিনি ব্যবস্থা নেবেন। তবে সেটা সেই সময়ই করতে হবে। আমরা যে তথ্য পেয়েছি, তাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।’

"