করোনায় গতকাল শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৯০ জন। এর আগে গত ২৯ মে ১ হাজার ৪৩ জন শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে হিসাবে সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় পর করোনায় সর্বনিম্ন রোগী শনাক্ত দেখল দেশ। এ ছাড়া এক দিনে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এবং শনাক্তের হারও কমেছে। শনিবার ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৫ জন, যা আগের দিন ছিল ৩৮ জন। একই সময়ে রোগী শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ যা কি না আগের দিন ছিল ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া ১ হাজার ১৯০ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হলেন ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ জন। একই সময়ে মারা যাওয়া ৩৫ জনকে নিয়ে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ২৭ হাজার ১৮২ জন।

আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৪৫ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৪ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এক দিনে করোনায় রোগী শনাক্তের হার ছয় দশমিক ৫ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৩ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

একই সময়ে করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ১৯ হাজার ৮৯৬টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ হাজার ৬৬৮টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৪ লাখ ১৩ হাজার ৩৩টি, এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৬৯ লাখ ৫০ হাজার ৪৪৫টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২৪ লাখ ৬২ হাজার ৫৮৮টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন আর নারী ১৯ জন। দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ৪৯০ জন আর নারী মারা গেলেন ৯ হাজার ৬৯২ জন।

তাদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে আটজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছে একজন।

মারা যাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ছয়জন, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে আছেন তিনজন করে, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের আছেন একজন করে আর সিলেট বিভাগের আছেন দুজন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানাচ্ছে, মারা যাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেলেন ২৭ জন আর বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন আটজন।

"