জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং সাধারণ পরিষদের সভাপতি মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহীদ বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট, সংঘর্ষ এবং মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) এই চ্যালেঞ্জিং বছর মোকাবিলায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আশা ও ঐক্য জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন। এবারের অধিবেশনের সহসভাপতি বাংলাদেশ। এ অধিবেশনে সশরীরে যোগ দিতে ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর সরাসরি ভাষণ দেবেন তিনি। খবর বাসসের।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৭৬তম অধিবেশনের সভাপতি আবদুল্লাহ শহীদ বলেছেন, এটি একটি পীড়াদায়ক ও চ্যালেঞ্জের বছর। বিশ্বের কোটি কোটি লোক অসুস্থ হয়েছে। লাখ লাখ লোক মারা গেছে। কোটি কোটি লোক মহামারির করুণ শিকারে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ, সংঘর্ষ এবং অস্থিতিশীলতার কারণে বিশ্বজুড়েই উদ্বেগ রয়েছে। তিনি বলেন, কিন্তু আমাদের নতুন অধ্যায় শুরুর পথ বেছে নিতে হবে। আমাদের আশা রাখতে হবে।

আবদুল্লাহ শহীদ বলেন, পরিস্থিতির অবশ্যই পরিবর্তন আসবে। আর এ পরিবর্তনের জন্য আমাদের অবশ্যই উদ্যোগ নিতে হবে।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, যেকোনো দিক থেকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্ব সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে। মানবসভ্যতার অদৃশ্য শত্রু মহামারি করোনা। এখন সময় তাকে মোকাবিলা করার। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সব চ্যালেঞ্জই এক হয়ে সমাধান করতে পারবে।

বিশেষ করে কোভিড-১৯-এর কথা তিনি তুলে ধরে বলেন, সবার জন্য টিকা দেওয়ার গতি এবং চিকিৎসা সুযোগ বাড়িয়ে আমাদের এই শত্রু মোকাবিলা করতে হবে।

তিনি বিশ্ব অর্থনৈতিক পদ্ধতিকে ধনী-দরিদ্রের বিভাজনের জন্য দায়ী করে বলেন, মানুষের মাত্রাতিরিক্ত লোভ এই গ্রহকে ধ্বংস করছে। কাজের মাধ্যমে আমাদের ঐক্য এবং বহুমুখী চেতনার মাধ্যমে আমরা এসব চ্যালেঞ্জ ও বিভাজন দূর করতে পারি।

বিদায়ী সভাপতি ভলকান বজকির টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার আহ্বান জানান। তিনি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে শান্তি ও সমৃদ্ধির উপায় উল্লেখ করে বলেন, দিন দিনই বিশ্বায়ন আরো সম্প্রসারিত হচ্ছে। আমরা পরস্পর যুক্ত এবং নির্ভরশীল হচ্ছি। তাই জাতীয়তাবাদী সমাধান দিয়ে আমরা আমাদের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করতে পারব না।

"