চলতি মাসেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসার ইঙ্গিত দিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। একই সঙ্গে তিনি বলেন, এডিস মশা যেন জন্মাতে না পারে সেজন্য সচিবালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

গতকাল রবিবার সচিবালয় প্রাঙ্গণে সচিবালয় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সচিবালয়ের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন এবং সেখানে ড্রেন পরিষ্কার রাখা, ভবনের ছাদসহ যত্রতত্র পরিত্যক্ত জিনিসপত্র না রাখা, এসির পানি নিয়মিত পরিষ্কার করাসহ পুরো সচিবালয় এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেন। বিভিন্ন ভবনে ঝুলে থাকা তার সরিয়ে ফেলারও নির্দেশনা দেন তিনি।

এরপর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, ‘আমি সিটি করপোরেশনকে বলেছি, তাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা এসে যেন পরিষ্কার করেস। একই সঙ্গে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের যারা আছেন, তাদেরও বলব তারা যেন আসেন। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে সচিবালয় প্রাঙ্গণ পুরোটা পরিষ্কার করে ফেলতে পারব।’

মন্ত্রী বলেন, সচিবালয়ে মন্ত্রী, ‘সচিব থেকে শুরু করে দেশ পরিচালনার সর্বোচ্চ ব্যক্তিরা বসে অফিস পরিচালনা করেন। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি অসংখ্য উন্নয়ন সহযোগী দেশের প্রতিনিধিরা এখানে আসেন। সচিবালয় প্রাঙ্গণ যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে তাহলে দেখতে যেমন সুন্দর লাগবে, তেমনি জাতি হিসেবে আমাদের সম্পর্কে তাদের ইতিবাচক ধারণার তৈরি হবে।’

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখান থেকেই বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জ, শহর-নগর সর্বত্র গরিব-মেহনতি মানুষ- সবার ভাগ্যের উন্নতির জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কাজ করে থাকি।

মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়বেন বলেছিলেন। সে সোনার বাংলার অর্থ হলো- সবাই খেয়ে-পরে সুন্দরভাবে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন। যারা শ্রমজীবী মানুষ তারা যেন শ্রমের সঠিক মূল্য পান এবং তারাও যেন সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারেন। তাদের সন্তানরাও যেন লেখাপড়া করতে পারেন, তাদেরও যেন স্বাস্থ্য ঠিক থাকে।’

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা কিছু পণ্য রপ্তানি করি, আবার কিছু পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করি। আবার দেশের অভ্যন্তরীণ পদ্মা সেতুসহ নানান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। এগুলো বাস্তবায়নে বিদেশি অনেক লোক আসেন। তারা যদি এখানে এসে দেখেন পরিবেশ নোংরা, তাহলে আমাদের জাতির সম্বন্ধে একটা খারাপ ধারণা হবে। এ দেশটা সম্পর্কে যদি খারাপ ধারণা হয়, তাহলে তো আপনার জন্যও খারাপ, আমার জন্যও খারাপ হবে।’

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ গরিব হতে পারে, কিন্তু অপরিষ্কার হবে কেন? যদি অপরিষ্কার হয়, দুর্নীতিপরায়ণ হয় অথবা অন্য কোনো খারাপ কাজে জড়িত থাকে, তখন তাকে অন্যরা বেশি ঘৃণা করে। গরিব হলে তো মানুষকে কেউ ঘৃণা করে না। আমরা তো ঘৃণিত জাতি হতে পারি না। এজন্য আমরা সবাই সবার স্থান পরিষ্কার রাখব।’

"