চট্টগ্রাম ব্যুরো
মডার্না ও সিনোফার্মের ১ লাখ ৮৫ হাজার টিকা চট্টগ্রামে
আমেরিকার তৈরি মডার্না এমআরএনএ ও চীনের তৈরি সিনোফার্মের আরো ১ লাখ ৮৫ হাজার ২০০ ডোজ টিকা বা ভ্যাকসিন পৌঁছেছে চট্টগ্রামে। গতকাল বুধবার সকাল ৭টায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ফ্রিজার ভ্যানে ১২০ কার্টনে আসা ওই টিক গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, মডার্নার প্রতি কার্টনে ৪০০ ভায়াল ও প্রতি ভায়ালে ১০ ডোজ করে ১ লাখ ৬ হাজার ৮০০ ডোজ এবং সিনোফার্মের প্রতি কার্টনে ৪০০ ভায়াল ও প্রতি ভায়ালে ২ ডোজ করে ৭৮ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা বা ভ্যাকসিন রয়েছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় চালানে মডার্নার ২২ কার্টন ও তৃতীয় চালানে সিনোফার্মের ৯৮ কার্টন ভ্যাকসিন রয়েছে। পৌঁছার পর ভ্যাকসিনগুলো সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে ওয়াক ইন কুলারে (ডব্লিউআইসি) ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়।
এ সময় ভ্যাকসিন গ্রহণ কমিটি সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবদুল্লাহ আল-মাসুম, জেলা প্রশাসকের পক্ষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস, ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মো. হামিদ আলী ও কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ান মো. জাফর উল্লাহ। ভ্যাকসিন তদারকিতে ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া, জেলা ইপিআই টেকনোলজিস্ট কাজল কান্তি পাল, বেক্সিমকো ফার্মার ইনস্টিটিউশন অফিসার মোহাম্মদ ওয়াহিদ ও সিনিয়র স্টোর ম্যানেজার মোহাম্মদ মহসীন। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে চট্টগ্রামে দ্বিতীয়বারের মতো আমেরিকার তৈরি মডার্নার ১ লাখ ৬ হাজার ৮০০ ডোজ ও তৃতীয়বারের মতো চীনের তৈরি সিনোফার্মের ৭৮ হাজার ৪০০ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আমরা পেয়েছি। সিনোফার্মের ভ্যাকসিনগুলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও মডার্নার ভ্যাকসিন সিটি করপোরেশন এলাকার নির্দিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে।
মডার্নার ভ্যাকসিন মহানগরী এলাকার ১১টি কেন্দ্রে ও সিনোফার্মের ভ্যাকসিন উপজেলা পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশনকারীদের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকায় মডার্নার ভ্যাকসিন পেতে ১১টি কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলছে। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল, সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), মোস্তফা হাকিম ম্যাটারনিটি হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতাল, ছাফা-মোতালেব ম্যাটারনিটি হাসপাতাল, বন্দরটিলা ম্যাটারনিটি হাসপাতাল, বিএনএস পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম বিএএফ জহুর মেডিকেল স্কোয়াড্রন ও পুলিশ হাসপাতাল। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই শাখায় প্রাপ্ত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন খুব সাবধানতার সঙ্গে ওয়াক ইন কুলারে (ডব্লিউআইসি) সংরক্ষণ করা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি ১ম দফায় অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ৪ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ, ৯ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় আরো ৩ লাখ ৬ হাজার ডোজ, ১৮ জুন সিনোফার্মের তৈরি ৯১ হাজার ২০০ ডোজ এবং ১১ জুলাই ১ লাখ ৮৪ হাজার ডোজ করোনার ভ্যাকসিন চট্টগ্রামে আসে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
"