নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৮ মে, ২০২১

ঈদের আগেই বাড়ল চিনি ও মুরগির দাম

ঈদের বাকি আর পাঁচ দিন। এরই মধ্যে বাজারে বেশ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। বর্তমানে সবজি, চালসহ অনেক পণ্যের দাম সামান্য নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চিনি ও মুরগির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা ও চিনির দাম ২-৫ টাকা বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা, মহাখালী, বাসাবো কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের বাজার দরের এই চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ভেদে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৫৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে লাল লেয়ার মুরগির। গত সপ্তাহে ২০০-২২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া লেয়ার মুরগির দাম বেড়ে বিক্রি হয়েছে ২৩০-২৩৫ টাকা। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে সোনালি বা পাকিস্তানি কক মুরগির দাম। আগের মতো ২৪০-২৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।

মুরগির দামের বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী শহীদুল বলেন, বাস চলাচলের সংবাদে গ্রাম থেকে অনেকে ঢাকায় ফিরে এসেছে। পাশাপাশি বাইরে মানুষের চলাচল বেড়েছে। এসব কারণে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বেড়েছে। আর চাহিদা বাড়ার কারণে দাম একটু বেড়েছে। আমাদের ধারণা, ঈদের আগে দাম আরো একটু বাড়বে।

আরেক ব্যবসায়ী কালাম বলেন, ঈদের আগে মুরগির দাম বাড়বে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। এখন ব্রয়লার মুরগি দাম কিছুটা বেড়েছে। ঈদের দুদিন আগে দেখবেন সব ধরনের মুরগির দাম আরো বেড়ে গেছে। কারণ ঈদে মুরগির চাহিদা বেড়ে যাবে।

মুরগির পাশাপাশি খোলা ও প্যাকেট উভয় ধরনের চিনির দাম বেড়েছে। খোলা চিনির কেজি বিক্রি হয়েছে ৭৫-৭৬ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭২-৭৪ টাকা। আর ৭৫ টাকা বিক্রি হাওয়া প্যাকেট চিনির দাম বেড়ে ৭৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

চিনির দামের বিষয়ে মহাখালী কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী মো. আফজাল বলেন, চিনির দাম আগে থেকেই বেশি। হঠাৎ করে কোম্পানি আবার চিনির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে আমাদের বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাজারে আসা ক্রেতারা জানান, দর বৃদ্ধির বিষয়টি তাদের কাছে অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আনিসুর রহমানে নামে একজন ক্রেতা বলেন, প্রতি সপ্তাহে বাজারে আসলেই শুনতে হয়, এটার দাম বেড়েছে, ওটার দাম বেড়েছে। দাম বাড়ানোটা ব্যবসায়ীদের ফ্যাশন হয়ে গেছে।

ব্রয়লারের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ক্রেতা মুরাদ হোসেন বলেন, গরমের মধ্যে মানুষ গরুর মাংস কম খাবে। সেই সুযোগটা এখন ব্রয়লার ব্যবসায়ীরা নিচ্ছে। রোজার আগে ১১০ টাকা ছিল ব্রয়লার দাম। এখন ১৫০।

এদিকে সবজি বাজার ঘুরে দামের তেমন ওঠানামা দেখা যায়নি। গত সপ্তাহে দাম বাড়ার পর এ সপ্তাহে দাম না বাড়লেও কমেওনি। বাজারে বরবটি বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, ঢ্যাঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পাকা টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। এ ছাড়া ফুলকপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

আর চালের বাজারে প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মিনিকেট ৬৩ থেকে ৬৪ টাকা, নাজির ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, মোটা চাল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। তেলের দাম কমে খোলা ভোজ্যতেল লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৩৯ টাকায়। এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close