নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ মে, ২০২১

দেশে মৃত্যু আরো ৪১

নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে আরো ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ওই ৪১ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দেশে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা হলো ১১ হাজার ৭৯৬। আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়। গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয় ৬৫ জনের। গত রবিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গত শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ জনের এবং এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ জনের মৃত্যু হয়। গত ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছিল ৮৮ জন কোভিড রোগীর। গত ২৮ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছিল ৭৭ জনের। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গত ২৬ এপ্রিল সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছিল ৯৭ জনের। গত ২৫ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছিল ১০১ জনের। এর আগে ১৬ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত টানা চার দিন দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ১০০-এর ওপরে ছিল। গত ১৯ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছিল ১১২ জনের। এটিই এখন পর্যন্ত দেশে এক দিনে মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিড শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮২২ জনের শরীরে। এ নিয়ে দেশে শনাক্ত হওয়া কোভিড রোগীর সংখ্যা হলো ৭ লাখ ৬৯ হাজার ১৬০। আগের ২৪ ঘণ্টায় কোভিড শনাক্ত হয় ১ হাজার ৭৪২ জনের। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে শনাক্ত রোগী কিছুটা বেড়েছে।

গতকাল দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪২৮টি ল্যাবে ২১ হাজার ৮২২টি নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড পাওয়া গেছে ১ হাজার ৮২২ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্ত হার ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ ছাড়া শেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২১ হাজার ৫৮৫টি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, শেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪১ জনের মধ্যে পুরুষ ১২ এবং নারী ১৯ জন। তাদের মধ্যে ২৪ জনই ষাটোর্ধ্ব বয়সি। অন্যদের মধ্যে দুজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং বাকি ১৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ২০ জন। এ ছাড়া আছেন চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪ জন; রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে দুজন করে এবং খুলনা বিভাগে একজন। ৪০ জনেরই মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। বাকি একজনের বাসায় মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ৩ হাজার ৬৯৮ জন কোভিড রোগী সুস্থ হয়েছেন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ২ হাজার ১৬৩। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৫ লাখ ৮২ হাজার ২৬৩টি। দেশে মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্ত হার ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক শূন্য ২৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

মার্চের শুরু থেকেই দেশে নতুন করে কোভিড সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও মাসের শেষ দিক থেকে তা বাড়তে থাকে দ্রুতগতিতে। গত ৭ এপ্রিল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড শনাক্ত হয় ৭ হাজার ৬২৬ জনের। দেশে এটিই এখন পর্যন্ত এক দিনে শনাক্ত রোগীর সর্বোচ্চ সংখ্যা। এর আগেও পরপর তিন দিন দৈনিক সাত হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়। গত ৬ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড শনাক্ত হয়েছিল ৭ হাজার ২১৩ জনের দেহে। গত ৫ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ৭ হাজার ৭৫ জনের। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ৭ হাজার ৮৭ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪২৭টি ল্যাবে ২০ হাজার ২৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড পাওয়া যায় ১ হাজার ৭৪২ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্ত হার ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গত মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪২০টি ল্যাবে ২১ হাজার ৯৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড পাওয়া যায় ১ হাজার ৯১৪ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্ত হার ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। গত সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৪৩১টি নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড পাওয়া গিয়েছিল ১ হাজার ৭৩৯ জনের। শনাক্ত হার ছিল ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। গত রবিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ১৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড পাওয়া গিয়েছিল ১ হাজার ৩৫৯ জনের। শনাক্ত হার ছিল ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ১১৭টি নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড পাওয়া যায় ১ হাজার ৪৫২ জনের। শনাক্ত হার ছিল ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। গত শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২১ হাজার ৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড পাওয়া যায় ২ হাজার ১৭৭ জনের। শনাক্ত হার ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। গত ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গত ২৮ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ। ২৬ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ। ২৫ এপ্রিল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ। গত ২৩ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ১৪ শতাংশ। গত ২২ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ১৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। গত ২০ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ১৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ। গত ১৮ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ১৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। গত ১৭ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ২১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত ১৬ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ২৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। গত ১৫ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ২১ শতাংশ। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ২০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। গত ১৩ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। ১২ এপ্রিল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ২০ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ১১ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ২৪ শনাক্ত হার ছিল ১৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ২০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। গত ৯ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ২৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ৮ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ৭ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ছিল ২২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।

দেশে কোভিড শনাক্ত হার ২০ শতাংশের বেশি হয়েছিল গত বছরের মে মাসের শেষ দিকে। সেখান থেকে কমতে কমতে এ হার চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৩ শতাংশের নিচে নেমে এসেছিল। গত মাসের শেষ দিক থেকে আবার বাড়ছে শনাক্ত হার।

দেশে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম কোভিডে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার এক বছর পর গত ৭ মার্চ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যায়। গত বছরের ৩০ জুন সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close