নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ এপ্রিল, ২০২১

মুভমেন্ট পাস পেতে ১৬ কোটি বার হিট

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ঘরের বাইরে বের হওয়ার জন্য মুভমেন্ট পাস পেতে এ সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে প্রায় ১৬ কোটি বার হিট করা হয়েছে। এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে পেরেছেন ৪ লাখ ৯৭৭ জন। রেজিস্ট্রেশনকারীদের মধ্য থেকে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৮০১টি পাস ইস্যু করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগের এআইজি মো. সোহেল রানা জানান, ‘গত মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৫ কোটি ৯৯ লাখ ২২ হাজার বার মুভমেন্ট পাসের ওয়েবসাইটে হিট করা হয়েছে। প্রতি মিনিটে ১৪ হাজার ২৬ জন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন। তবে ৪ লাখ ৯৭৭ জন রেজিস্ট্রেশন করতে সক্ষম হয়েছেন। এর মধ্যে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৮০১টি পাস ইস্যু করা হয় এই সময়ে। আর ৩ লাখ ১৬ হাজার ৭৫৪টি পাস গ্রহণ করা হয়।’

যাদের পাস লাগবে না : যেসব পেশাজীবীদের পরিচয়পত্র দেখালেই সেগুলো হচ্ছে- চিকিৎসা, ব্যাংকিং, গণমাধ্যম, শিল্প-কারখানা, গার্মেন্ট ও উৎপাদন, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানি সেবা। টেলিফোন, ইন্টারনেট ও ডাক বিভাগের সরকারি কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস, বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদেরও মুভমেন্ট পাস লাগবে না।

সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে পহেলা বৈশাখের ছুটির পর ব্যাংকসহ অনেক প্রতিষ্ঠানই গতকাল খোলা ছিল। ফলে সকাল থেকেই রাস্তায় দেখা গেছে অফিসগামী যাত্রীদের। তবে যথারীতি রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ও চেকপোস্টে পথচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জরুরি সার্ভিসে নিয়োজিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য যারা রাস্তায় বের হন তাদের মুভমেন্ট পাস আছে কি না সে বিষয়টি তারা নিশ্চিত করেন। মুভমেন্ট পাস না থাকলে অফিসের পরিচয়পত্র দেখেও অনেককে যেতে দেওয়া হয়।

সকাল থেকে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় গতকাল রাস্তায় অনেক লোকজন বের হন। যাদের অফিস খোলা তাদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন পুলিশ সদস্যরা। তবে মুভমেন্ট পাস নিয়ে বের হয়েছেন কি না সে বিষয়টি তারা জিজ্ঞাসা করেন।

বেশ কয়েকটি চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জরুরি প্রয়োজনে যারা রাস্তায় বের হন তাদের মুভমেন্ট পাস আছে কি না সে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তারা। এ ছাড়া যাদের অফিস খোলা তাদের পরিচয়পত্র দেখে যেতে দেওয়া হয়। মুভমেন্ট পাস নিয়ে জরুরি কাজ শেষে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন তারা। তবে লকডাউনের প্রথম দিন চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত অনেককে চলাচলে বাধা দেওয়া বা হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মিরপুর বিভাগের দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল হোসেন বলেন, ‘রাজধানীতে প্রবেশের একটি রুট আমাদের এই থানা এলাকা। সকাল থেকেই সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারা বের হন, তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’

গত মঙ্গলবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে এক অনুষ্ঠানে মুভমেন্ট পাস অ্যাপের উদ্বোধন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। গত বুধবার থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ঘরের বাইরে বের হতে এই মুভমেন্ট পাসের ব্যবস্থা করে পুলিশ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close