নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধী টিকা নিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা। গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় তিনি এ টিকা নেন বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং। আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে শেখ রেহানার টিকা নেওয়ার সময়ের একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। অনেকেই ছবিটি শেয়ার করেছেন, অভিনন্দন জানিয়েছেন। ফলে ছবিটি রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে।

দেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধী গণটিকাদান কার্যক্রমের পঞ্চদশ দিনে টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ৯৮৫ জন। তাদের মধ্যে মাত্র ৩৯ জনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (যেমন জ্বর, টিকা দেওয়া স্থানে লাল হওয়া ইত্যাদি) দেখা গেছে। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য মতে, গতকাল পর্যন্ত কোভিডপ্রতিরোধী টিকা নিয়েছেন ২৬ লাখ ৭৩ হাজার ৩৮ জন। তাদের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ৬৬৯ জনের। পাশাপাশি এ পর্যন্ত ওই টিকা নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ৯৮৫ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১২ হাজার ৯৯ এবং নারী ৬৯ হাজার ৮৮৬ জন। গতকাল যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন ঢাকা বিভাগে ৬০ হাজার ৭৪০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ হাজার ৮৬০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭ হাজার ৭৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৮ হাজার ১৭৯ জন, রংপুর বিভাগে ১৬ হাজার ৬১২ জন, খুলনা বিভাগে ২৪ হাজার ৮৩৮ জন, বরিশাল বিভাগে ৮ হাজার ৩৯৪ জন এবং সিলেট বিভাগে ৮ হাজার ২৮৮ জন।

গত ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম কোভিডপ্রতিরোধী টিকা নেন একজন নার্স। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে। পরদিন রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে শুরু হয় কোভিডপ্রতিরোধী গণটিকাদান কার্যক্রম।

বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিডপ্রতিরোধী টিকা কোভিশিল্ড। সবাইকে এ টিকার দুটি করে ডোজ নিতে হবে। সরকারের কেনা এ টিকার ৩ কোটি ডোজের মধ্যে প্রথম ৫০ লাখ ডোজ গত মাসে আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া ভারতের উপহার হিসেবে আরো ২০ লাখ ডোজ অক্সফোর্ডের টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। গত সোমবার দ্বিতীয় চালানে এসেছে আরো ২০ লাখ ডোজ।

"