নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ জানুয়ারি, ২০২১

দেশে মৃত্যু আরো ২৩

দেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরো ৫৬৯ জনের মধ্যে যা গত সাড়ে ৮ মাসর মধ্যে সবচেয়ে কম। সবশেষ গত বছরের ২ মের চেয়ে কম রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; সেদিন ৫৫২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর এসেছিল। আর গত শনিবার ৫৭৮ জন নতুন রোগী শনাক্তের খবর জানানো হয়েছিল। দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গতকাল রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৫৬৯ জনকে নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৬৩২ জন হয়েছে। এছাড়া আরো ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ৯০৬ জন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ৬৮১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৭ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এরই মধ্যে ৯ কোটি ৪৫ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০ লাখ ২২ হাজার।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৯তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ১১৫টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৫৬টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে ১৯৯টি ল্যাবে ১৩ হাজার ৪৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫৩টি নমুনা। এ সময় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর‌্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৯টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৭৮৪টি।

নতুন যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ আর নারী ৭ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ১৬ জন ঢাকা বিভাগের, ১ জন করে মোট ৫ জন চট্টগাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও রংপুর বিভাগের এবং ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৯০৬ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৯৯২ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৯১৪ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৩৫৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৯৯২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯১৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৯০ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬০ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এর মধ্যে ৪ হাজার ৩৮৪ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৪৪৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৫১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৪৩ জন খুলনা বিভাগের, ২৪০ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০১ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৪ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৮৫ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close