নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে মৃত্যু আরো ১৩
দেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত আট মাসর মধ্যে সবচেয়ে কম। গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সর্বশেষ গত বছরের ১২ মে এর চেয়ে কম মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; সেদিন ১১ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৫টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৫৬টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ ১৯৯টি ল্যাবে ১৩ হাজার ৬৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৭৬২ জনের। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৪ লাখ ৩১ হাজার ৭৯২টি নমুনা। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্ত হার ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হার ১৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ৭১৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে শেষ এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৭১ হাজার ১২৩ হয়েছে। আর মারা যাওয়া ১৩ জনকে নিয়ে ৭ হাজার ৮৬২ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া আরো ৭৬২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৫ হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ লাখ ৭২২টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৭ লাখ ৩১ হাজার ৭০টি। এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ আর নারী চারজন। তাদের মধ্যে ১২ জন হাসপাতালে ও একজন বাড়িতে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে আটজনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, দুজন করে মোট চারজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ ও ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ১০ জন ঢাকা বিভাগের, একজন করে তিনজন রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এরই মধ্যে ৯ কোটি ৩১ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯৪ হাজার। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৮তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৮৬২ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৯৬৩ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৮৯৯ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৩২৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এ ছাড়াও ১ হাজার ৯৮২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯১০ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৮৯ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৯ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ৪ হাজার ৩৫৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৪৪১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৫০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৪২ জন খুলনা বিভাগের, ২৪০ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০০ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫১ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৮৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
"