নিজস্ব প্রতিবেদক
পরিবেশ বিপর্যয় হতে দেওয়া যাবে না
স্যানিটেশন মাস উদ্বোধনকালে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য দাসেরকান্দিতে ঢাকা ওয়াসার একটি প্রকল্প চালু রয়েছে। এ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে রামপুরা, বনশ্রী, আফতাবনগরসহ আশপাশের এলাকা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে পয়োবর্জ্যগুলো দাসেরকান্দি নেওয়া হবে। পরে এটাকে প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হবে। শুধু এটা হবে না, ঢাকা শহর এটা হবে না। ঢাকা শহর নিয়ে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। এছাড়া সব ধরনের ময়লা আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে গর্ত করে ফেলতে হবে। পরিবেশটা সবার তাই এর বিপর্যয় কখনো হতে দেওয়া যাবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে আয়োজিত জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর ২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান। ‘উন্নত স্যানিটেশন নিশ্চিত করি, করোনাভাইরাস মুক্ত জীবন গড়ি’ স্লোগান নিয়ে জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর-২০২০ গতকাল থেকে শুরু হয়েছে।
ওই অনুষ্ঠান থেকে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করতে সিটি করপোরেশন, নগর পরিকল্পনাবিদ, এনজিও এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, স্যানিটেশন আন্দোলনের ফলে গ্রামে, ইউনিয়নে ও উপজেলা পর্যায়ে ল্যাট্রিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারলে আমরা কখনোই নিরাপদ থাকতে পারব না বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, হাতের মাধ্যমে অনেক রোগ জীবাণু শরীরে সংক্রমিত হয়। এই হাত দিয়ে আমরা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ধরে থাকি। এর মাধ্যমে জীবাণুগুলো শরীরে প্রবেশ করে। এতে নানা রোগের সৃষ্টি হয়। এজন্য যত বেশি হাত পরিষ্কার রাখবেন তত বেশি সুস্থ থাকবেন। আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হতে গিয়ে পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুহম্মদ ইবরাহিম বলেন, পয়োবর্জ্যরে মাধ্যমেও করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন তাই এই বর্জ্যরেও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্য হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, বর্তমানে দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ স্যানিটেশনের আওতায় এসেছে। স্যানিটেশন ব্যবস্থায় পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে আছে বলেও জানান সিনিয়র সচিব। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান।
"