নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

জমির প্লটভিত্তিক জোনিংয়ে সাশ্রয় ১১০ কোটি টাকা

মৌজা ও প্লটভিত্তিক দেশের সব ভূমিকে জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং করা হচ্ছে। ভূমির গুণাগুণ অনুযায়ী ভূমিকে প্লটওয়ারি কৃষি, আবাসন, বনায়ন, জলমহাল বাণিজ্যিক ও শিল্প উন্নয়ন, পর্যটন ইত্যাদি শ্রেণিতে বিভক্ত করে গ্রামাঞ্চলের জন্য মৌজা ও প্লটভিত্তিক ডিজিটাল ভূমি জোনিং ম্যাপ প্রণয়ন করা হবে। এতে সাশ্রয় হবে ১১০ কোটি টাকা।

মাঠপর্যায়ে ভূমি ব্যবস্থাপনার ওপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুবিধার্থে কেন্দ্রীয়ভাবে কম্পিউটারাইজড ভূমি তথ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি স্থাপন করা ইত্যাদি এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। প্রথমে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৪৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এখন প্রকল্পের ব্যয় কমে দাঁড়াচ্ছে ৩৩৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ফলে প্রকল্পের ব্যয় সাশ্রয় হবে ১১০ কোটি টাকা। দেশের ৬৪টি জেলার ৪৯৩টি উপজেলায় ৪ হাজার ৫৬২টি ইউনিয়নের ৫৬ হাজার ৩৪৯টি মৌজা এ প্রকল্পের আওতায় থাকছে। প্রকল্পটি চলতি সময় থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্পের আওতায় ব্যয় কমিয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে। আজ মঙ্গলবার একনেক সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। গণভবন থেকে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, প্রথমে যা ব্যয় চাওয়া হয়েছিল সেখান থেকে বিশাল অংকের টাকা কমানো হয়েছে। প্রকল্পটি মঙ্গলবার একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। ভূমি জোনিংবিষয়ক কার্যক্রম সচল রাখার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি পৃথক ইউনিট গঠন করা হবে।

বাংলাদেশের মোট কৃষিজমি প্রায় ৮৪ শতাংশ। কিন্তু এখন এ জমি কমে যাচ্ছে। ভূমি ব্যবহার নীতি-২০০১ বাস্তবায়নকল্পে ভূমি মন্ত্রণালয় ২০০৬ থেকে ২০১১ মেয়াদে উপকূলীয় ভূমি জোনিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। যার মাধ্যমে ১৫২টি উপকূলীয় উপজেলার ভূমি জোনিং ও ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশের ৩৩৬টি উপজেলায় ভূমি জোনিং এবং ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা ও ম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের জন্য মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। মোট ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪১২টি মৌজা ম্যাপ তৈরি করা হবে।

প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪১২টি মৌজা ম্যাপ সিট সংগ্রহ করা হবে। ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪১২টি মৌজা ডেটাবেইজ সংগ্রহ করা হবে। এর পাশাপাশি মৌজা ম্যাপ সিট ডিজিটাইজেশন ও ম্যাচিং অব মৌজা ম্যাপ করা হবে। প্রকল্পের আওতায় চারটি হাই রেজুলেশন স্ক্যানার ও ল্যান্ড ইউজ সার্ভে খাতে ৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের আওতায় স্যাটেলাইট ইমেজ সংগ্রহ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close