নওগাঁর নিয়ামতপুরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কলেজছাত্রীর মাথার চুল কাটার ঘটনায় রুপা নামে আরেক আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে জেলার মান্দা উপজেলায় তার ফুফুর বাড়ি থেকে আটক করা হয় তাকে। রুপা এই মামলার প্রধান আসামি রায়হানের স্ত্রী। তাদের বাড়ি উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের ঝাজিরা গ্রামে হলেও উপজেলা সদরে বালাহৈর জামে মসজিদের কাছে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়ামতপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মতিয়ার রহমান বলেন, রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মাথার চুল কাটার ঘটনায় গত ২১ সেপ্টেম্বর কলেজছাত্রীর বাবা আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে রায়হানকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরো দুজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। মামলার পর রায়হানকে আটককে মঙ্গলবার জেল হাজতে পাঠানো হয়। এছাড়া রায়হানের স্ত্রী রুপাকেও আটক করা হয়েছে। এছাড়া অন্য আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার বিকেল ৫টার দিকে ওই কলেজ ছাত্রী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শেষে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ি যাওয়ার পথে বালাহৈর জামে মসজিদের কাছ থেকে রায়হান ও তার তিন বন্ধু তাকে জোর করে রাস্তা থেকে তুলে তার ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর রায়হান ও তার স্ত্রী রূপা কলেজছাত্রীর মাথার চুল কেটে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। সেখানে তাকে প্রায় ২ ঘণ্টা আটকে নির্যাতন করা হয়। মাথার দেড় ফুট লম্বা চুল কেটে ফেলা হয়। এরপর অশ্লীল ছবি তুলে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। কলেজছাত্রী বাড়ি যাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মামলার দিন প্রধান আসামি রায়হানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার দুই দিন পর রায়হানের স্ত্রী রুপাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

"