ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ২২ লাখ ৯ হাজার ৯১০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অস্থায়ী ২২ লাখ ৭ হাজার ৫৭৫ জন রয়েছে। কর্ম সংযুক্তিতে ২০০৯-১০ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত এ খাতে ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ১৮০ কোটি ৮২ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ আছে ৫৭৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

গতকাল বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৮ম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, আবদুস সালাম মুর্শেদী, জুয়েল আরেং এবং এ এম নাঈমুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিকেএসপির মহাপরিচালক, বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের সভাপতি, বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানগণসহ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রণালয় থেকে উত্থাপিত বৈঠকের কার্যপত্রে আরো উল্লেখ করা হয় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি বর্তমান সরকারের একটি অগ্রাধিকারমূলক কর্মসূচি। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে সরকারদলীয় নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য যুব এ কর্মসূচি ২০০৯-২০১০ অর্থবছর হতে চালু হয়। পাইলটিং কর্মসূচি হতে ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমে সপ্তম পর্ব পর্যন্ত ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচিটি সম্প্রসারিত হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৭টি জেলার ১২৮টি উপজেলায় এ কর্মসূচিভুক্ত হয়েছে। কর্মপ্রত্যাশী যুবক ও যুব মহিলা যারা শিক্ষিত (উচ্চমাধ্যমিক ও তার বেশি) এবং বয়স ২৪ থেকে ৩৫ তারা এ কর্মসূচির উপকারভোগী।

এদিকে সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবন সংলগ্ন পরিত্যক্ত সুইমিং পুলটি ভেঙে ২৫-৩০ তলাবিশিষ্ট একটি মাল্টিপারপাস বিল্ডিং তৈরির সুপারিশ করে কমিটি।

বৈঠকে বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের খেলোয়ারদের প্রশিক্ষণের জন্য একজন পুরুষ ও একজন মহিলা কোচ নিয়োগ, প্রশিক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক মানের স্থায়ী জায়গা/মাঠের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য কমিটি সুপারিশ করে।

"