ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা হয়েছে। তরুণীকে অপহরণ, এরপর পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয়প্রতিপন্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে মামলাটিতে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগী ওই তরুণী নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া তিনিই আগের মামলাটিও করেছেন বলে জানা গেছে। এ মামলায়ও ওই ছয়জনকেই পৃথক পৃথক অভিযোগে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গতকাল দায়ের করা নারী নির্যাতন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার মামলার এজাহার গ্রহণ করে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) নুর আলমকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের এ নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, মামলাটিতে দুইটি ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন। আরেকটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এছাড়া মামলাটির ছয় আসামি হলেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮), একই সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন (২৮), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরু (২৫), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নাজমুল হুদা (২৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহহিল কাফি (২৩)।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলায় ঘটনার দিনক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। স্থান উল্লেখ করা হয়েছে, কোতোয়ালি থানা এলাকার সদরঘাট হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট।

এর আগে গত সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় নুরসহ এই ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরে ওই মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে নামলে ভিপি নুরসহ ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। অবশ্য ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানায়, বিক্ষোভ মিছিলের সময় বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ কারণেই তাদের আটক করা হয়।

"