নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ এপ্রিল, ২০২০

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

এনআইডি না থাকলেও ত্রাণ দিতে হবে দুস্থদের

জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি না থাকার অজুহাতে কোনো অসহায়, ভাসমান গরিব ও দুস্থ ব্যক্তিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণ থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। সম্প্রতি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে সব জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। করোনার কারণে কর্মহীন ও দুস্থ মানুষকে মানবিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণ দিচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে সাত দফায় ৬৪ জেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য সরকার ৪৭ কোটি ৩৫ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং ৯৪ হাজার ৬৬৭ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে ত্রাণ মন্ত্রণালয়। তবে অভিযোগ আছে নিজ এলাকার ভোটার ও ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া ত্রাণ দিচ্ছেন না জনপ্রতিনিধিরা।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে জেলায় সিটি করপোরেশন/উপজেলা/পৌরসভায় বসবাসকারী নিম্নআয়ের মানুষ, যেমন- বস্তিবাসী, বেকার শ্রমিক, চা শ্রমিক, রেস্টুরেন্ট শ্রমিক, মোটরযান শ্রমিক, নির্মাণ ও কৃষি শ্রমিক, চা দোকানদার, দিনমজুর, ভবঘুরে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বয়স্ক ব্যক্তি, স্বামী পরিত্যক্তা বা বিধবা নারী, রিকশা বা ভ্যানচালক, ভিক্ষুক, বেদে ও হিজড়া সম্প্রদায়, পথ শিশুদের মধ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা প্রয়োজন।

এতে বলা হয়, ভোটার আইডি কার্ড না থাকার অজুহাতে কোনো অসহায়, ভাসমান গরিব ও দুস্থ ব্যক্তিকে ত্রাণ বিতরণ থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে সিটি করপোরেশন, উপজেলা ও পৌরসভায় তিনটি মনিটরিং টিম গঠন করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, কমিটি নিয়মিত ত্রাণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে।

এমনভাবে ত্রাণ বিতরণ করতে হবে যাতে কোনো উপকারভোগী বাদ না পড়ে। সিটি করপোরেশন/উপজেলা/পৌরসভা/ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়ার্ড ভিত্তিক উপকারভোগীদের তালিকা প্রস্তুত করে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে। ত্রাণ বিতরণের সামগ্রিকভাবে সমন্বিত কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close